২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:২৩:৪৪ অপরাহ্ন
বরিশাল ও খুলনা: ভোট শেষ, লোডশেডিং শুরু
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২৩
বরিশাল ও খুলনা: ভোট শেষ, লোডশেডিং শুরু

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) ভোটের পর নগরীতে আবারও লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার অন্তত তিনবার প্রায় তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে নগরের বিভিন্ন এলাকায়। একই খবর পাওয়া গেছে খুলনা নগরীতেও। গত সোমবার খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোট হয়। ওই ভোটের আগে খুব একটা লোডশেডিং ছিল না বলে নগর দুটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন।


তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে বরিশালে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। এদিকে গরমে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। 


বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয়ের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, গতকাল বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হলে এই তাপমাত্রা শিগগির কমবে না।


বরিশাল নগরের প্যারারা রোডের দোকানি মারুফ হোসেন বলেন, ‘এত দিন লোডশেডিং ছিল না বললেই চলে। হঠাৎ করে আজ (গতকাল) সকালে এক ঘণ্টা, দুপুরে আবারও এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। অথচ ভোটের সময় শান্তিতে ছিলাম।’


কাউনিয়া এলাকার গৃহিণী শামিমা সুলতানা বলেন, ভোটে নগরবাসীকে শান্ত রাখার জন্য লোডশেডিং দেওয়া হয়নি। এখন ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিং আর গরমে টেকা কষ্টকর।


বরিশাল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বপ্রাপ্ত রুবেল কুমার দে বলেন, নির্বাচনের সময় অধিক গুরুত্ব দিয়ে বরিশালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়। এখন একটু লোডশেডিং দিতেই হবে।


বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, ভোটের পর থেকে দিনে ১০ মেগাওয়াট করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে খুলনা মহানগরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে লোডশেডিং। বিএনপি দাবি করেছে, কেসিসি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই লোডশেডিং বেড়েছে। ওজোপাডিকো কন্ট্রোল রুমের সূত্র অনুয়ায়ী, গতকাল খুলনা মহানগরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৮৮ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ২৮ মেগাওয়াট। বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং দিয়ে ঘাটতি মেটানো হয়েছে। ৬ জুন কেসিসি নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৭০ মেগাওয়াট। ওই সময় সরবরাহ ছিল ১৬৪ মেগাওয়াট। সে সময় ঘাটতি ছিল ৬ মেগাওয়াট।


নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘১২ জুন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনায় লোডশেডিং ছিল না। আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছে। আজই (গতকাল) তার প্রমাণ, লোডশেডিংয়ের কারণে আপনারা আমাদের অফিসে গরমে বসতে পারছেন না।’



শেয়ার করুন