চট্টগ্রাম পর্বে ঢাকা ডোমিনেটর্সের বিপক্ষে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক ১৯ ওভার পর্যন্ত বলই হাতে নিলেন না। শেষ ওভার করতে এসে দিলেন মাত্র ৪ রান।
মাশরাফি বোলিং করলেন মাত্র ১ ওভার। সিলেট মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজউদ্দীন জানিয়ে দিলেন স্বস্তির খবর— ‘না, কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। তবে ডান পায়ে একটু হালকা ব্যথা আছে। আর বাকিরা সবাই ভালো বোলিং করেছেন। দরকার পড়েনি, তাই এক ওভার মাত্র বোলিং করেছেন মাশরাফি।’
ব্যাট হাতে ১১ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়ে এদিন ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম। সংবাদ সম্মেলনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের কাছে রাখা হলো প্রশ্ন— ‘অধিনায়ক মাশরাফির কি কোনো শারীরিক সমস্যা, তিনি যে মাত্র এক ওভার বল করলেন?’
ইমাদ ওয়াসিমও একই কথাই জানালেন— ‘না, না। আমি মনে করি, আমরা ভালো বোলিং করছিলাম। তার বোলিংয়ের সুযোগ ছিল না। আমাদের দিয়েই শেষ করতে চেয়েছেন। তিনি ২০তম ওভারটা করেন, যা টি-টোয়েন্টিতে কঠিনতম। ওখানে ইয়র্কার করা ফ্যান্টাস্টিক। ওখানে যদি ১৫-১৬ রান দিয়ে আসতেন, তা হলে কিন্তু আমরা ম্যাচটা হেরে যেতে পারতাম। কিন্তু মনে হয় উনি ৬-৭ রানের মতো দিয়েছেন (আসলে ৪)। তার দিক থেকে গ্রেট অ্যাফোর্ট।’
মাশরাফিকে কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও অসাধারণ নেতা আখ্যা দিয়ে এ পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের মূল্যায়ন— ‘ক্রিকেটে তিনি কিংবদন্তি। অসাধারণ নেতা, দারুণ মানুষ। ক্রিকেটের ওঠানামা সম্পর্কে জানেন। কারণ ২০০০ সাল থেকে ক্রিকেট খেলছেন। তিনি কতটা ভালো, তা প্রকাশ করার মতো যথেষ্ট শব্দ আমার কাছে নেই। তার জন্য আমার সবটুকুই সম্মানের।’
ইমাদ যোগ করেন, মুসলমান হিসেবে আমরা সবসময়ই আমাদের ভাইদের সম্মান করি, সিনিয়র খেলোয়াড়দের সম্মান করি। তাকে বড়ভাইয়ের মতোই সম্মান করি। অভিভাবক হিসেবে তিনি যা বলেন, তাই আমরা অনুসরণ করি। খেলাটাকে খুব উপভোগ করেন উনি।