০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:২৮:২০ পূর্বাহ্ন
প্রচারণার শেষ দিনে উৎসবমুখোর ছিলো রাজশাহী, রাত পোহালেই ভোট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৬-২০২৩
প্রচারণার শেষ দিনে উৎসবমুখোর ছিলো রাজশাহী, রাত পোহালেই ভোট

রাত পোহালেই আগামীকাল রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এর জন্য গতকাল থেকে শেষ হয়ে প্রচার-প্রচারণা। তবে শেষদিনে নগরজুড়ে ব্যাপক প্রচারণায় মেতে ওঠেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারনায় যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় রাজশাহী। গতকাল দুপুর দুইটা থেকেই মাথায় মাইক বেধে একের পর এক ছুটে চলেছে ব্যাটারিচারিত অটোরিকশা। এসব মাইকে গানের সুরে সুরে তাল মিলিয়ে নৌকা, ঘুড়ি, ট্রাক্টর, টিফিস ক্যারিয়ার, ঠেলাগাড়ী, আনারস বা লাটিমসহ অন্যান্য প্রতীকে ভোট চাওয়া হচ্ছিল। আবার পাড়া- দলে দলে প্রার্থীদের পক্ষে বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতেও নেমেছিলেন বিভিন্ন বয়সের নারী সমর্থকরা। থেমে থাকেননি পুরুষ সমর্থকরাও। বিভিন্ন বয়সের পুরুষরাও প্রার্থীদের সঙ্গে বা আলাদাভাবে দলে দলে গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালিয়েছেন প্রচারণা।


লিফলেট হাতে নিয়ে ছুটে গেছে সাধারণ ভোটারদের কাছে। শেষদিনে কোনোভাবেই একে অপরকে ছাড় দিতে চাননি সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ছিল মেয়রপ্রার্থীর ক্ষেত্রে। গতকাল শেষদিনেও একমাত্র আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়া আর কাউকে তেমন মাঠে দেখা যায়নি। লিটনের পক্ষে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই চলেছে প্রচারণা মিছিল। মেয়র লিটনের নেতৃত্বেও একটি বিশাল প্রচারণা মিছিল বের হয় নগরীতে। এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মিছিলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর বাটার মোড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন। এর পর সেখান থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন মেয়রপ্রার্থী লিটন। এসময় তিনি গত ৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও তাঁকে মেয়র নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।


এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, তবিবুর রহমান শেখ. নাইমুল হুদা রানা। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু প্রমুখ।


এদিকে বিকেলে নগরীর শাহমখদুম এলাকায় কিছু সময়ের জন্য প্রচারণা চালান জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। এসময় তাঁর সেঙ্গ ছিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

নগরীর কোর্ট এলাকায় প্রচারণা জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার এবং তার কর্মী-সমর্থকরা। তিনি কিছু সময়ের জন্য প্রচারণায় চালিয়ে বাসায় চলে যান।


অন্যদিকে নগরজুড়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা প্রচারণা মিছিল ছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে ব্যস্ত ছিলেন। সকাল থেকেই নগরীতে তাঁরা প্রচারণায় মেতে ওঠেন। নগরীর মোড়ে মোড়ে চাস্টলগুলো ছিল শুধু নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা। ২১ জুনের ভোটে কে হচ্ছেন কাউন্সিলর-এ নিয়ে নানা হিসেব-নিকেশেও মেতে ওঠনে ভোটাররা। আবার কেউ কেউ মেতে প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার টানাতে। প্রচারণার শেষদিনে এসে নগরীর সবখানেই যেন ভোটের আমেজ বিরাজ করতে থাকে। সেইসঙ্গে কাউন্সিলরদের ঘিরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছিল উত্তেজনার পারদও।

জানতে চাইলে রাজশাহী রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করি। আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রেখেছি। ভোটারদের মাঝে শেষদিকে এসে উৎসবও বিরাজ করছে।’


প্রসঙ্গত, আগামীকাল ২১ জুন রাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। অপর তিনজন হলেন জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারুকী ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার।

শেয়ার করুন