সব শঙ্কা ছাপিয়ে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ঘড়ির কাটা আটটায় পৌঁছানোর আগেই নগরীর ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটাদের ভিড় শুরু হয়। সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই কেন্দ্রগুলোর সামনে পড়ে দীর্ঘ লাইন।
তবে সকাল সকাল নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে কেন্দ্রগুলোর সামনে। ভোটাররা শৃঙ্খলা মেনে এক এক করে বুথে প্রবেশ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বের হচ্ছেন। রাজশাহীর মেঘলা আবহাওয়া ভোট বাড়ার ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন সকাল সোয়া ৯টায় জানান, রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যার খবর তিনি পাননি। ভোটার উপস্থিতি বেশ ভাল।
তিনি আরও জানান, সকাল সকাল কেন্দ্রগুলোতে যেভাবে ভোটারদের ভিড় দেখছেন তাতে রাজশাহীতে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়ার আশা রয়েছে। সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে সময় শেষ হওয়ার আগেই যদি কোনো ভোটার কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন সেক্ষেত্রে তার ভোট নিয়ে নেওয়া হবে। রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে।
অন্যদিকে ভোট শুরুর পর সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারদের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই কেন্দ্রের ভোটার মনি মিঞা বলেন, সকাল ৮টার আগেই অনেক ভোটার কেন্দ্রে এসেছে। ভাল ভোট হচ্ছে। কেন্দ্রের বাইরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। ভোটের দিন রাজশাহীতে উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে পাড়া মহল্লা ও কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে।
নগরীর মাদারবখস কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে নুর জাহান বেগম জানান, আগে তো কাগজের ওপর সিল দিয়েছি। এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। বেশ ভাল লাগছে।
নারী ভোটারদের ভিড় বেশির কারণ হিসেবে নুর বানু নামের এক ভোটার বলেন, আমাদের রান্নাবান্না ও ঘরের কাজ আছে। সকাল সকাল ভোটটা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলাম।
এদিকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও কেন্দ্রগুলোর সংযোগ সড়কের ওপর চেকপোস্টসহ কঠোর নজরদারি রয়েছে সকাল থেকেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের টহলদারি রয়েছে। কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে।