তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ছেলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের এই নেতা। ভোটের ফলাফলে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা তাঁর ধারেকাছেও নেই।
ভোট গণনার পর রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমের হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। তিনিই আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। আর জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীকে ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। তিনি অবশ্য নির্বাচন থেকে আগেই সরে যেতে চেয়েছিলেন। পরে দল সরে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় মনের বিরুদ্ধেই ভোট করতে হয় তাঁকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের সমর্থনে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এ শহরের মেয়র হন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে পরাজিত হন তিনি।
তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির বুলবুলকেই আবার বড় ব্যবধানে পরাজিত করে লিটন মেয়র হন। এবার সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে তিনি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
লিটন পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত মেয়রকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।