২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:২৪:৪৪ অপরাহ্ন
ঈদযাত্রাবৃষ্টির মধ্যে ভোগান্তি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৬-২০২৩
ঈদযাত্রাবৃষ্টির মধ্যে ভোগান্তি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন এসে বৃষ্টির ভোগান্তিতে আছেন ঘরে ফেরা মানুষেরা। ট্রেনে তুলনামূলক স্বস্তির যাত্রা হলেও সড়কপথে রয়েছে ভোগান্তি। টার্মিনালগুলোতে ভিড় না থাকলেও ঢাকা ছাড়তে পেতে হচ্ছে বেগ। 


আজ সকালে গাবতলী টার্মিনালের যাত্রীদের ভিড় না থাকলেও ভাড়া বেশি ও যানজটের ভোগান্তি রয়েছে। গাবতলী টার্মিনালের যাত্রীদের আরেক ভোগান্তি পাশের গরুর হাট। হাটের কারণে আমিনবাজার ব্রিজের দুপাশে রয়েছে যানজট। তার সঙ্গে ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। 


বাস কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে দক্ষিণবঙ্গের অনেক যাত্রী এখন সায়েদাবাদ হয়ে ঘরে ফিরছেন। তাই তুলনামূলক গাবতলী টার্মিনালে ভিড় অনেকটাই কম। 


সকালে দেখা যায়, যারা অগ্রিম অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন তারা ভিড় করছে কাউন্টারে। আবার অনেকেই এসেছেন টিকিট কেটে ঘরে ফিরতে। 


প্রায় একই চিত্র মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও। ঢাকার পাশের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য বাসের টিকিটের চাহিদা বেশি।


কাউন্টার থেকে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর অঞ্চলের যাত্রীর চাপ সন্ধ্যার পর বেশি। আর ঢাকার পাশের জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর এই অঞ্চলের যাত্রীদের চাপ দিনে বেশি।


এর আগে গতকাল (সোমবার) ছিল ঈদের শেষ কর্মদিবস। তাই সন্ধ্যা পার হতেই ভিড় ছিল রাজধানীর বাস টার্মিনালে। তবে আজ সকালের চিত্র ছিল ভিন্ন। বৃষ্টির কারণে  ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। 


গাবতলী ও মহাখালীতে ঈদযাত্রা শুরুর চতুর্থ দিনে প্রায় সব গাড়িকেই সঠিক সময়ে নির্ধারিত স্টপেজ ছেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। তবে ঢাকায় ঢুকতে দেরি হওয়ায় অনেক গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা রয়েছে।


উত্তরবঙ্গগামী এনা, একতা, এস আর পরিবহনের কাউন্টার কর্মীরা জানালেন, দূরপাল্লার বেশির ভাগ বাসেরই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হওয়ায় যাত্রীদের অপেক্ষা এখন শুধু বাড়ি ফেরার নির্ধারিত বাসে চড়ার। তাই সময় অনুযায়ী কাউন্টারে আসলেই হচ্ছে। রাতের অগ্রিম যাত্রার টিকিট বেশি বিক্রি হয়েছে।


গাবতলীতে চুয়াডাঙ্গা যাবেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল অফিস শেষ করে যাওয়া হয়নি। আজ যাচ্ছি। বাস দেড়টায়। কিন্তু বৃষ্টিতে সমস্যা হয়ে গেছে। শুনেছি আমিনবাজার পর্যন্ত জ্যাম আছে হালকা।’


যশোরের যাত্রী অর্ণব বলেন, ভাড়া একটু বেশি। আর গাড়ি দেরি করে ছাড়ছে। 


এদিকে ঢাকা থেকে খুলনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর রুটের যাত্রা পদ্মা সেতুর জন্য দুই ভাগ হয়েছে। সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীর কিছু অংশে আলাদা কাউন্টার রয়েছে বড় বাস কোম্পানিগুলোর। সেখানেও আজ ভিড় বেড়েছে। কাউন্টারগুলোতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে যাত্রীরা। গাড়ি থামলে ডেকে তুলে দিচ্ছেন কাউন্টার কর্মীরা।


শেয়ার করুন