সীমান্ত নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরিতা দীর্ঘ দিনের। দুই দেশের এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাব ক্রিকেটেও পড়েছে। যে কারণে এক যুগেরও বেশি সময় দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দেখা যাচ্ছে না ভারত-পাকিস্তানকে।
শুধুমাত্র আইসিসি এবং এসিসির ইভেন্টে মুখোমুখি হয় তারা। ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখার জন্য বৈশ্বিক আসরগুলোর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় ক্রিকেটপ্রেমীরদের।
চলতি বছর পাঁচবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের। যদিও সেক্ষেত্রে মিলতে হবে নানা সমীকরণ।
চলতি বছর আগস্ট মাসের শেষে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা রয়েছে। খুব বেশি সময় বাকি না থাকলেও এখনও এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। সেই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
দুই দলই যদি সুপার ফোর-এ ওঠে তা হলে প্রতিযোগিতার ফরম্যাট অনুযায়ী আরও এক বার দেখা হবে তাদের। একই সঙ্গে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের। আর সেটি যদি হয় সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপেই তিনবার মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান।
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার পরে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। গ্রুপ পর্ব থেকে যদি ভারত ও পাকিস্তান নকআউট রাউন্ডে পৌঁছায় তাহলে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে আবারও দেখা হতে পারে তাদের।
সবমিলিয়ে চলতি বছর পাঁচবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবা রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের।তবে সমীকরণ না মিললে সেটি হবে এরচেয়ে কম।
এদিকে ভারতে গিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপে খেলার জন্য সরকারের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
পিসিবির সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পরাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন- ক্রীড়ামন্ত্রী আহসান মাজারি, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, আসাদ মাহমুদ, আমিন উল হক, কামার জামান কাইরা ও সাবেক কূটনীতিক তারিক ফাতমি।
গঠিত এ কমিটি পাকিস্তান-ভারত সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, খেলাধুলা ও নীতিকে আলাদা রাখার বিষয়ে সরকারের অবস্থান এবং খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সমর্থক ও মিডিয়া সম্পর্কিত ভারতের বিরাজমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে তাদের সুপারিশ করবেন। পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।