বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুর রাইডার্স এবার খেলছে মিকি আর্থারের অধীনে। যার ঝুলিতে আছে ‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার অভিজ্ঞতা, রংপুরকে গ্লোবাল সুপার লিগ জিতিয়েছেন তিনি। সেই তিনি এবার জানালেন বিপিএলে বাংলাদেশি সব প্রতিভা মুগ্ধ করেছে তাকে।
দেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আর্থারের পদচারণা এবারই প্রথম নয়। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বিপিএলে কোচিং করিয়েছেন তিনি। তখনকার তুলনায় এখন বাংলাদেশের প্রতিভার মান বেড়েছে অনেকখানি, বিশ্বাস তার।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিভার ঝাঁকটা অনেক বড় হয়েছে। আমি যখন ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচিং করিয়েছিলাম, তখনকার তুলনায় এখন তা অনেক বেশি। দারুণ সব খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছে, যাদের দারুণ সব দক্ষতা আছে।’
প্রসঙ্গক্রমে নাহিদ রানার কথা এলই। তার দলে খেলছেন নাহিদ। গতি দিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার সম্পর্কে আর্থারের মূল্যায়ন, ‘দ্রুত আন্তর্জাতিক মানের বোলার হতে যা প্রয়োজন, নাহিদের তার সবগুলো আছে। তার গতি আছে, স্কিল আছে, কখন নিজের গুণগুলোর ব্যবহার করতে হবে, সে জ্ঞানটা আছে। ভবিষ্যতে তার ব্যতিক্রমী এক বোলার হয়ে না ওঠার কোনো কারণই দেখছি না।’
শেষ কিছু দিনে তার ওয়ার্কলোড নিয়ে কথা উঠছে বেশ। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ৯ দিনের এদিক ওদিকে ৬ ম্যাচ খেলেছিল রংপুর, তখন টানা খেলেছিলেন নাহিদ। তবে এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না আর্থার। জানালেন, আরও উন্নতি করতে হলে নিয়মিত বোলিং করতেই হবে নাহিদকে।
তিনি বলেন, ‘ফান ব্যালেন্সের বিষয়টা হলো সে কতটা বোলিং করছে, আর বিশ্রাম পাচ্ছে। বিপিএলে সে স্রেফ ২৪ বলই করছে একটা ম্যাচে, এটা তো খুব বেশি কিছু নয়! এটা তাকে স্কিল ও ম্যাচ অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করবে। কীভাবে চাপের মুখে পারফর্ম করতে হয়, নিজের দক্ষতাগুলো বাড়াতে হয়, তা শিখবে সে।’
‘যখন সে ক্লান্ত হয়ে যাবে, তখন তার অ্যাকশন দেখে আপনি তা বুঝতে পারবেন। তখনই তার বিশ্রাম দরকার। তবে একই সময়ে তার যদি উন্নতি করতে হয়, তাহলে নিয়মিত বোলিং তাকে করতেই হবে।’