৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৬:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন
ছবি টানানো নিয়ে আ. লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২৩
ছবি টানানো নিয়ে আ. লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২

কার্যালয়ে ছবি টানানোকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক হুমায়ুন কবির টিপুকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত হলেন–দপ্তর সম্পাদক আবুল।

এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম বলেন, ‘সভাপতি হওয়ার অনেক আগে থেকেই দলীয় কার্যালয়ে আমার ও এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার ছবি টানান নেতা কর্মীরা। মঙ্গলবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির আক্তার খান তরুলোদীর সমর্থকেরা আমার ছবি ভেঙে তাঁর ছবি লাগায়। তখন কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা শুনে আমি ঢাকা থেকে আসার পথেই তরুলোদীকে ফোন দিই। অনেকবার ফোন দেওয়ার পর ফোন ধরলে আমি তাকে বলি, যা ঘটেছে আমি এসে দুজনে মিলে মীমাংসা করব। এর মধ্যে আমি যখন উল্লাপাড়ায় তখন খবর পেলাম রাত ৯টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তরুলোদীর লোকজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির টিপু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসেম আহত হন। হুমায়ুন কবির টিপুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানেও তার সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে বুধবার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি আমি জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে জানিয়েছি। চিকিৎসা শেষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

অন্যদিকে, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনির আক্তার খান তরুলোদী বলেন, ‘পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে কার্যালয়ে উত্তেজনার কথা শুনে আমি বিকেলে যাই। পাটি অফিসে গিয়ে অফিসের সামনে ওসি তদন্তসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখি। তখন আমি সবাইকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি এবং আমি বাড়িতে ছিলাম। ঘণ্টা দু-এক পরে শুনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির টিপু অনেক গালমন্দ করে, তখন আমার ছেলেরা তার প্রতিবাদ করে। আমি এতটুকুই জানি। তা ছাড়া মারামারি হয়েছে, তা আমার জানা নাই।’


শেয়ার করুন