২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১০:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন
মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয়হীনতা দূর করার নির্দেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২৩
মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয়হীনতা দূর করার নির্দেশ

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কাজের সমন্বয়হীনতা দূর করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজে যেন ওভারল্যাপিং না হয়, সে বিষয়েও সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের কাজ সমন্বয় করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট আইন মেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পের কাজে যেন ওভারল্যাপিং না হয়। ওভারল্যাপিং হলে অপচয় হয়, অপচয় আমরা চাই না।

এক প্রকল্পের কাজ এক মন্ত্রণালয়ের নয়, এতে অনেক মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত থাকে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজে সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির বিষয়টি তোলা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা জানি এটা হবেই।

রেট শিডিউলের সঙ্গে আমরা প্রকল্পগুলো রিভাইজ করব। মূল্য বেড়ে গেলে সেটা আমরা সংশোধন করব। ডলারের যে দাম বাড়ছে, এটার ফলেও প্রকল্পের সার্বিক ব্যয়কে প্রভাবিত করছে। এই বিষয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে একনেক সভায় দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উচ্চ আদালতে ট্যাক্সসংক্রান্ত অনেক মামলা পেন্ডিং আছে।

আইন মন্ত্রণালয়কে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। কিভাবে এগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আমার গ্রাম আমার শহরসহ একনেকে ১৫ প্রকল্প অনুমোদন

নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন করা হয়েছে আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পসহ মোট ১৫টি প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১২ হাজার ১৯২ কোটি সাত লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন পাঁচ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫৮৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। 

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি (দ্বিতীয় পর্যায়), সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (এসএমইউ) স্থাপন, জিনাই, ঘাঘট, বংশী ও নাগদা নদীর প্রবাহ পুনরুদ্ধারে শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ নিশ্চিতকরণ, নৌপথের উন্নয়ন ও বন্যা ব্যবস্থাপনা, উলিপুর (হেলিপ্যাড মোড়)-চিলমারী (গুনাইগাছ) সংযোগ সড়ক নির্মাণ, বেসরকারি ভবনগুলোর রেজিলিয়েন্সির (স্থিতিস্থাপকতা/সহনশীলতা) জন্য ডিজাইন এবং নির্মাণের গুণগত মান বৃদ্ধিকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রামে সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, আমার গ্রাম আমার শহর : পাইলট গ্রাম উন্নয়ন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জন্য রেকর্ড ভবন নির্মাণ, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ এবং টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন, ভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে উড়িরচর নোয়াখালী ক্রস ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প ও চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ উপজেলার পোল্ডার নম্বর ৭২-এর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের স্থায়ী পুনর্বাসনসহ ঢাল সংরক্ষণ এবং দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নতুন খাদ্যগুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ।


শেয়ার করুন