ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কার কলম্বো যাওয়ার পথে আটক হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। ভারতের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্মকর্তারা অপূর্ব রায় (২২) নামে ওই বাংলাদেশি যুবকে দেশটির কোচি বিমানবন্দর থেকে আটক করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপূর্বকে আটক করার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে নেদুম্বাসারি পুলিশ।
অপূর্ব রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অপূর্ব জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছে। সে কর্ণাটক আসার আগে সে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছে।
ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্মকর্তারা অপূর্বকে তল্লাশি করে তাঁর কাছ থেকে তাঁর ফোনে স্ক্যান করা একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং কর্ণাটকের একটি প্রাইভেট ব্যাংকের দুটি প্যান কার্ড পেয়েছে। এসব কার্ডের সবগুলোই অপূর্ব রায়ের নামে ইস্যু করা যেখানে বলা হয়েছে অপূর্ব বাংলাদেশের নাগরিক।
আটককৃত যুবকের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে জানা গেছে, সে বেশ কয়েকবার আগরতলা ভ্রমণ করেছে এবং সেসময়ই মূলত যে জাল তথ্য ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে। অপূর্বর কাছে যে ভারতীয় নাগরিক পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে তাতে ঠিকানা হিসেবে কর্ণাটকের ইয়াগির জেলার ভিমরায়ন গুড়িকে ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এই তদন্ত হওয়া উচিত কারণ এ ধরনের ঘটনা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অপূর্ব কেন কলম্বো যাচ্ছিল তা এখনো জানা যায়নি। তবে বিস্তারিত জানতে পুলিশ তাঁর বিষয়ে তদন্তে নেমেছে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্তে রাজ্য পুলিশ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে এবং এই মামলার দায়িত্ব ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দেওয়া হতে পারে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা অপূর্বের দেওয়া জাল ঠিকানায় তদন্তের জন্য লোক পাঠাব এবং এ জাল তথ্যের পেছনে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ তবে পুলিশের সন্দেহ, এর পেছনে হয়তো কোনো এজেন্সি কাজ করছে।
আটক যুবকের কাছে ৩০০ ডলার, ৩ হাজার রুপি জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ফরেন পাসপোর্ট অ্যাক্টের আওতায় মামলা দায়ের করেছে।