আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, দেশের সব নাগরিক সমান। সবার ধর্ম পালনের সমান স্বাধীনতা ও অধিকার রয়েছে। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি হলো পাকিস্তানি ভাবাদর্শ এবং উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি।
গতকাল শনিবার এক কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কেউ নিরাপদ বোধ করে না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—কেউ নিরাপদ বোধ করে না। সাধারণ মানুষ নিরাপদ বোধ করে না।
ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বিএনপির রাজনীতি হলো পাকিস্তানি ভাবাদর্শ এবং উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি। দলটি সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এখন নির্বাচন যত কাছে আসছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং পরোক্ষভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছেন।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলরা যতই মিথ্যাচার করুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির শাসনামলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সেই ভয়াবহ উত্থানের কথা ভুলে যায়নি। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের অক্ষরে রচিত পবিত্র সংবিধানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শক্তিশালী ভিত রচিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং ধর্ম-বর্ণ, জাতি-লিঙ্গ, শ্রেণি-পেশানির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সেই অঙ্গীকারকে ধারণ করেই রাজনীতি করে আসছে।