পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সৈয়দপুর কারখানায় এবার গোপনে ৫০০ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাজ আছে মজুরী আছে ভিত্তিতে ওই শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগে বড় ধরনের বাণিজ্য হয়েছে বলে রেলওয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রেওলয়ে সূত্র মতে, চলতি বছরের ১৫ থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সৈয়দপুর কারখানার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে সর্বমোট ৩০০ লোক নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে আরও দুই শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ ছাড়ায় এসব কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী কুদরত-ই খুদার সুপারিশে সৈয়দপুর কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান এ নিয়োগ সম্পন্ন করেন।
রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, সৈয়দপুর কারখানায় শ্রমিক সঙ্কটের অজুহাত তুলে দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরী ভিত্তিতে (মাসে ১৫ হাজার) এসব শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। তবে এসব শ্রমিকদের অধিকাংশই রেলওয়ে কর্মকর্তাদের পছন্দের লোক। এর পরেও একেজনের নিকট থেকে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
অনেককেই প্রলোভন দেওয়া হয়েছে চাকরি স্থায়ীকরণেরও। তবে মাত্র দেড় মাসের জন্য (১৫ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত) চুক্তিভিত্তিক এ নিয়োগ দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় আবারও নতুন করে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এভাবে বছর খানেক পার করে এসব অস্থায়ী শ্রমিকদের দিয়েই চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য আদালতে মামলা ঠুকে দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিয়োগ পাওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, রেল কর্মকর্তাদের সুপারিশে নিয়োগ পেয়েছেন ওই শ্রমিকরা। আর এটি করতে গিয়েই ওই শ্রমিকদের নিকট থেকে একটি চক্র বড় ধরনের বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলো।
তবে এ নিয়োগে কোনো ধরনের বানিজ্য করার সুযোগ নাই বলে দাবি করেছেন সৈয়দপুর কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখনো যোগদান করেনি। তবে যাঁরা যোগদান করেছে, তাঁদের পরীক্ষা নিয়েই আমরা কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করাচ্ছি। দক্ষ লোক ছাড়া এখানে কেউ কাজ করতে পারবে না। তাই যোগদানের পরেও কয়েকদিন কাজ করে অনেকেই চলে যাচ্ছেন। কাজেই নিয়োগের নামে অর্থ আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পে এখন টাকা আছে। তাই দেড় মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। টাকা শেষ হলে কাজও শেষ হয়ে যাবে। আবার টাকা পেলে শ্রমিকরা কাজ করবেন।’
এদিকে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী কুদরত-ই খুদা বলেন, ‘নিয়োগ হয়েছে সৈয়দপুর কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে। তিনিই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।