২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:২৫:৩৬ অপরাহ্ন
পাকিস্তানসহ আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২৩
পাকিস্তানসহ আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিল সরকার

ভারত রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আবার অস্থির হয়ে উঠছে দেশে পেঁয়াজের বাজার। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এসব দেশ থেকে প্রায় ১৪ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র।


আজ বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ টন, মিসর থেকে ৩ হাজার ৯১০, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০, কাতার থেকে ১ হাজার ১০০, তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০, মিয়ানমার থেকে ২০০, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 


এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির পর এখন পর্যন্ত দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন। যেখানে মোট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন।


এবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ভারতেরএবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ভারতের

সম্প্রতি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে। এতে বাজারে রাতারাতি দাম বেড়ে গেছে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন করে নয়টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণায়ের তথ্যমতে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ৩৫-৩৬ লাখ টন। উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন। গত বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টন। তবে গরম আর সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ২০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাহিদা মেটাতে প্রায় পুরো বছর আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এসব পেঁয়াজের সিংহভাগ আসে ভারত থেকে। এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সাড়ে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।


শেয়ার করুন