০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০৪:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন
গ্রেনেড হামলাকারীদের বিষয়ে শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই এগোতে হবে: মতিয়া চৌধুরী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২৩
গ্রেনেড হামলাকারীদের বিষয়ে শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই এগোতে হবে: মতিয়া চৌধুরী

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিষয়ে আগামীদিনে শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই এগোতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তাদের ছাড় দিলে দেশের সাধারণ মানুষ নিগৃহীত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২১ আগস্ট বোমা হামলায় নিহত বেগম আইভী রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বেগম আইভী রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 


মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যারা নরপশু, পিশাচ তারা ছাড়া তার মতো (শেখ হাসিনা) উদার মানসিকতা... তার যে মানুষকে কাছে টানার অদ্ভুত ক্ষমতা.. তিনি বাংলাদেশের সবাইকে কাছে টানতে পারেন কিন্তু ওই সমস্ত জল্লাদদের তিনি কাছে টানতে পারেননি। পারার দরকারও নাই আমি মনে করি। ওই চেষ্টা না করাই ভালো। ওদের ব্যাপারে আমাদের শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই এগোতে হবে। ওদের মোকাবিলা করতে হবে। মোকাবিলা না করলে সাধারণ মানুষ নিগৃহীত হবে।’


সেদিনের ঘটনার কথা জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘সেদিন মিছিলে যাব বলে স্টেজ থেকে নেমে আমি সামনের দিকে এগোচ্ছি তখন আইভী বলল যে আপনি আজকে মেয়েদের সঙ্গে যাবেন। আমি তখন বললাম, তোমার পায়ে ফ্র‍্যাকচার, তুমি তো পুরোটা যাবে না। আজকের মিছিলটা গুরুত্বপূর্ণ, আমি সামনের দিকে যাই। ব্যাংকের সামনের কদম গাছটার সামনে গিয়ে আমি দাঁড়িয়েছি। তখনই পটকার মতো সাধারণ শব্দ। তেমন ধোঁয়াও নাই। কিন্তু এত স্বাভাবিক একটা শব্দের ভেতরে এত মৃত্যু লুকিয়ে ছিল তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আল্লাহ যদি তার রহমতের চাদর দিয়ে নেত্রীকে সেদিন রক্ষা না করতেন তাহলে কোনো অঙ্কেই ওনার বাঁচার হিসাব মিলে না। তবুও শব্দে ওনার কানের পর্দা ফেটে গিয়েছিল।’


সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পরিকল্পিত ঘটনা ছিল। যারা ৭১ এ পরাজয় মেনে নিতে পারেনি তারাই সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা।’


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, ‘একজন শিক্ষক যে এত নির্লজ্জ, মিথ্যাবাদী হতে পারে তা মির্জা ফখরুলকে না দেখলে বুঝতাম না। অবশ্য বিএনপি দলটিই মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে।’


বিএনপি এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘আমাদের আহতদের উদ্ধার করার সুযোগও দেয়নি। পানি দিয়ে আলামত নষ্ট করা হলো। আবার আমাদের ওপরই লাঠিচার্জ করা হলো। এভাবে বিএনপি এই অপকর্মের সঙ্গে যে যুক্ত তা প্রমাণ করেছিল।’


মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব শাহজাহান আলম সাজু, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ প্রমুখ।


শেয়ার করুন