২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১০:০২:১৫ অপরাহ্ন
প্রিগোঝিনের বিমান দুর্ঘটনা স্বচক্ষে দেখা গ্রামবাসীরা যা জানালেন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২৩
প্রিগোঝিনের বিমান দুর্ঘটনা স্বচক্ষে দেখা গ্রামবাসীরা যা জানালেন

রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার দুই মাসের মধ্যেই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ভাড়াটে যোদ্ধার দল ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। দুর্ঘটনার সময় রাজধানী মস্কো থেকে নিজের বিমানে চড়ে ৯ সঙ্গীসহ সেন্টপিটার্সবার্গে যাচ্ছিলেন তিনি। মস্কোর কাছাকাছি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তিভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। 


আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ার আগেই একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছিলেন কুজেনকিনো গ্রামের বাসিন্দারা। 


গ্রামটির বাসিন্দা ৭২ বছর বয়সী ভিটালি স্টেপেনক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছি। যদি মাটিতে কোনো বিস্ফোরণ ঘটে তবে অবশ্যই এর আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হবে। কিন্তু ধাতব ওই শব্দটির কোনো প্রতিধ্বনি ছিল না এবং আমি আকাশে তাকাতেই দেখি সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী।’ 


বিমানটি মাটিতে পড়ার অবস্থাটি নিজের অঙ্গভঙ্গিতে দেখিয়ে ভিটালি বলেন, ‘এর একটি ডানা উড়ে গিয়েছিল এবং বাকি শরীরটি ঠিক একটি ডানার ওপর ভর করে তীব্র বেগে মাটির দিকে নেমে আসছিল। তবে বিমানটি মুখ থুবড়ে পড়েনি।’ 


আনাতোলি নামে গ্রামটির আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘ঘটনার সময় শব্দটি শুনে আমি শুধু বলেছিলাম, এটা বজ্রপাত নয়, এটা একটি ধাতব বিস্ফোরণ। এমন একটি আওয়াজ যা আগেও শুনেছি।’ 


বিধ্বস্তের সময় বিমানটির যাত্রী তালিকায় প্রিগোঝিন ছাড়াও তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি উটকিনও ছিলেন। এ ছাড়া বিমানটিতে থাকা বাকিরাও ভাগনার গ্রুপেরই সদস্য ছিলেন। 


বিমান দুর্ঘটনা এবং প্রিগোঝিনের মৃত্যু নিয়ে ক্রেমলিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি না দিলেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় ভাগনার গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে। 


দুর্ঘটনার পর ফরেনসিক তদন্তকারীরা ধ্বংসস্তূপের স্থানটিতে একটি তাঁবু ফেলার পাশাপাশি আলোর ব্যবস্থাও করেছিলেন। 


দুর্ঘটনাস্থল থেকে আল-জাজিরার আমিন দেরঘামি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, দুটি গাড়ি মৃতদের পরিবহনের জন্য দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বিমানের কিছু অংশ ২ কিলোমিটার দূরেও পাওয়া গেছে। তবে অনুসন্ধানের কাজটি কঠিন ছিল।’ 


দেরঘামি আরও বলেন, ‘রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, প্রিগোজিন ফ্লাইটে ছিলেন। রুশ অ্যাভিয়েশন ফেডারেশন এর আগে যাত্রী তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত, তদন্ত দল নিশ্চিত করেনি যে প্রিগোজিনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’ 


রুশ তদন্তকারীরা দুর্ঘটনাটির বিষয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছেন। 


তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি সূত্র রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে, রাশিয়ান মিডিয়ার কাছে দাবি করেছে, তাদের বিশ্বাস এক বা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে নিক্ষেপ করে বিমানটিকে আঘাত করা হয়েছে। 


শেয়ার করুন