২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন
কর দিয়ে পাচার করা অর্থ বৈধ করার প্রস্তাব
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৬-২০২২
কর দিয়ে পাচার করা অর্থ বৈধ করার প্রস্তাব

২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ কর দিয়ে বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, কর দিয়ে এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না কর্তৃপক্ষ।



বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’শিরোনামে খসড়া বাজেট ঘোষণায়  এ তথ্য জানান।


বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরে আমাদের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।


 তাই আর্থিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অধিক বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী পন্থা অবলম্বন করতে হবে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য এক দিকে আমাদের অধিক পরিমাণে রাজস্ব যোগান দিতে হবে, অন্য দিকে বেসরকারি খাতেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে হবে।


এ অবস্থায় বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার মাধ্যমে বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে  আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।


নতুন বিধানের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যে কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১০ শতাংশ ও বাংলাদেশে পাঠানো (রেমিটকৃত) নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ সুবিধা ২০২২ সালের ১ জুলাই হতে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

শেয়ার করুন