আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে ভীষণ চাপে ছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি হারলে এশিয়া কাপ থেকে বিদায়, জিতলেও রানরেট বাড়িয়ে নিতে হবে। সব চাপ সামলে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিলো টাইগাররা, নাম লেখালো সুপার ফোরে।
লাহোরে গতকাল বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ের ব্যবধানটা বড় না হলে ৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো সাকিব আল হাসানের দলকে। সেটা আর লাগছে না।
কারণ, আফগানদের বিপক্ষে জয়ে ২ পয়েন্ট পাওয়ার সঙ্গে নেট রানরেটও বাড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের রানরেট এখন (+০.৩৭৩)। তারা এখন ‘বি’ গ্রুপে তিন দলের মধ্যে দ্বিতীয় নম্বরে। শ্রীলঙ্কার নেট রানরেট (+০.৯৫১) বাংলাদেশের থেকে বেশি, তাই সমান ২ পয়েন্ট নিয়েও এক নম্বরে লঙ্কানরা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, শ্রীলঙ্কা বেশি নেট রানরেট নিয়েও সুপার ফোর নিশ্চিত করতে পারেনি, বাংলাদেশের কিভাবে নিশ্চিত হলো? এই জায়গায় জটিল সমীকরণের প্যাঁচ।
শেষ ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে হারায়, তবে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা সুপার ফোরে যাবে। ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশও যাবে সুপার ফোরে। আফগানিস্তানের পয়েন্ট তখন থাকবে ০।
আর শেষ ম্যাচে যদি আফগানিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয়? তবে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা তিন দলেরই পয়েন্ট হবে ২ করে। কিন্তু বাংলাদেশ বাদ পড়বে না।
কারণ আফগানিস্তান যদি অল্প ব্যবধানে জেতে, তবে বাংলাদেশের নেট রানরেটকে পেছনে ফেলতে পারবে না। তাদের রানরেট এখন (-১.৭৮০)। অর্থাৎ সুপার ফোরে যেতে হলে লঙ্কানদের বেশ বড় ব্যবধানে হারাতে হবে আফগানদের। যদি
আফগানরা বেশ বড় ব্যবধানে লঙ্কানদের হারিয়েও দেয়, তবু ঝুঁকি নেই বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে নেট রানরেট মাইনাস হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কার, বাদ পড়বে তারা।
অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন যে নেট রানরেট পেয়েছে, শ্রীলঙ্কা বা আফগানিস্তান যে দলই জিতুক, সাকিব আল হাসানের দল নিদেনপক্ষে দ্বিতীয় স্থানে থেকে সুপার ফোরে খেলবে।