২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:৪৭:০৬ অপরাহ্ন
হেফাজতের ঘটনায় তথ্য বিকৃতি: অধিকারের আদিলুর-এলানের মামলার রায় আজ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৯-২০২৩
হেফাজতের ঘটনায় তথ্য বিকৃতি: অধিকারের আদিলুর-এলানের মামলার রায় আজ

২০১৩ সালে হেফাজতের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলা হয়। আজ বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত রায় ঘোষণা করবেন। 


মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৪ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন অভিযুক্ত দুজনই আদালতে হাজির ছিলেন। আজও তাঁদের আদালতে হাজির থাকতে হবে। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নজরুল ইসলাম শামীম আজকের পত্রিকাকে রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরের দিকে রায় ঘোষণা করা হবে। 


২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলাম সমাবেশ করে। পরে সমাবেশস্থলে রাতে অবস্থানের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই অভিযানে হেফাজতে ইসলামীর ৬১ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি করে এবং প্রচার করে অধিকার। 


পরে ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়। 


ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য অভিযোগ আমলে নেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। 


মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি আদিলুর ও এলান ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেন। 


পাশাপাশি তাঁরা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করেন, যা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় অপরাধ। একইভাবে ওই আসামিরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চালান এবং সরকারকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে হেয় করার চেষ্টা চালান, যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫০৫ ও ৫০৫-এর (সি) ও (ডি) ধারায় অপরাধ।


শেয়ার করুন