২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২৩
সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় যোগাযোগ, বাণিজ্যিক সংযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পেয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এদিকে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দু’দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।


আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই আলোচনার ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটিও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।


ভারতের স্থানীয় সময় গতকাল বিকেলে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে দেড় ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। এর পর এক্সে (টুইটার) এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেকটিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।


দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া তিন সমঝোতা স্মারক হলো– কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ।


বৈঠক নিয়ে গতরাতে বিবিসি বাংলা জানায়, দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে অত্যন্ত আন্তরিক, খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে। ওই বৈঠকে আরও একবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ‘পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও মৈত্রীরই প্রতিফলন ঘটেছে’ বলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র তাদেরকে জানিয়েছে।


এদিকে, বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। গতকাল রাতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের পর দিল্লির একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।


তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো অফিসিয়াল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারত আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কানেকটিভিটি তথা রেল ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আমাদের চলমান প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রম বেগবান করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।


ড. মোমেন বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একমত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪-৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে তাঁর সফল রাষ্ট্রীয় সফরের পর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানাবিধ ক্ষেত্রে প্রভূত দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এই জন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।


নির্বাচন নিয়ে চাপে ভারতের সহযোগিতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারত ও আমরা সব সময় বলে আসছি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। শান্তি ও স্থিতিশীলতা উভয় দেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মঙ্গলকর। ভারত এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত।


দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, হয়তো সেটি আমি জানি না। তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। সেখানে অনেক কিছু আলাপ করেছি।


বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের কিছু দ্বিপক্ষীয় বিষয় রয়েছে। ভারত থেকে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে থাকি। হঠাৎ এগুলোর সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাহীন থাকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।


বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা চাপের বিষয়ে ভারতের মনোভাব নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা বলেন, অনেক চাপ। কিন্তু আমরা এগুলো টের পাই না। এটা আপনাদের কাছে খালি শুনি। ভারত ও বাংলাদেশ একইভাবে চিন্তা করে। আমরা এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা আনতে চাই না। আমাদের ২০০১-২০০৬ এর অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা সেই অবস্থাতে যেতে চাই না। আমরা পেছনে যেতে চাই না।


নির্বাচন বানচাল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বহির্বিশ্ব আমাদের কিছুই করতে পারবে না, যদি জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। বহির্বিশ্ব আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো ইস্যু নয়। আইনের মাধ্যমে এটি বাতিল হয়েছে। আইনগতভাবে এটি নিষিদ্ধ।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা কোনোমতেই গ্রহণ করব না। নির্বাচিত সরকারই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। কোনো ব্যক্তিবিশেষ হঠাৎ এসে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন– সেটি আমরা মানব না। সংবিধান অনুযায়ী মানতে পারি না। এ বিষয়ে আমারা কোনো ধরনের ছাড় দেব না।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপির নির্বাচন বয়কট নিয়ে তিনি বলেন, তারা বয়কট করলে বয়কট করুক। অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, নির্বাচনে আসবে। আর একটা দল যদি না আসে, তাহলে কী করার রয়েছে?


তাহলে কি বিএনপি ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে– উত্তরে ড. মোমেন বলেন, আমরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে। তবে আমরা প্রায়ই বলি, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে হলে সব দল-মতের ইচ্ছা থাকতে হবে। একা সরকার বা নির্বাচন কমিশন সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না। আগামীতে জনগণ স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে।


বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক নিয়ে ভারতের মনোভাব বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত চীনের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। আর বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো প্রশংসা করেছে।


দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে মুদ্রা বিনিময় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা ভারতের মুদ্রায় ব্যবসা করব। এটি নির্ভর করবে ভারতের মুদ্রার রিজার্ভের ওপর।


আজ শনিবার দুই দিনব্যাপী জি২০ শীর্ষ সম্মেলন নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গতকাল অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভারতের রেলওয়ে ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোস প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সফরসঙ্গী অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানাও রয়েছেন। এর আগে সকাল ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।


আজ শুরু হওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের সাইডলাইনে একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন।


আগামীকাল রোববার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এর পর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হবে। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। দেশটির মেয়াদকালীন বাংলাদেশসহ সদস্য নয় এমন ৯টি দেশকে জি২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায় ভারত। দেশগুলো হলো– বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।


জি২০-এর ১৯টি দেশ আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ববাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।


শেয়ার করুন