২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:২৯:২২ অপরাহ্ন
এক সেলফিতেই বিএনপির লাফালাফি বন্ধ: ওবায়দুল কাদের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৯-২০২৩
এক সেলফিতেই বিএনপির লাফালাফি বন্ধ: ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি তোলা দেখে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটে গেছে, আমেরিকার দিকে তাকিয়ে ছিল তারা। একটা সেলফি দেখেই চোখমুখ শুকিয়ে গেছে তাদের। রাতের ঘুম শেষ হয়ে গেল। এখন কে নিষেধাজ্ঞা দেবে? ওসব ভয় পায় না আওয়ামী লীগ।


রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে দেশব্যাপী প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রোববার এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের শক্তিতে আগামী নির্বাচন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভালোবাসা আওয়ামী লীগের একমাত্র পুঁজি। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়। সত্যের পক্ষে, জনগণের পক্ষে যে কোনো সময় সুদৃঢ় অবস্থা এই দলের।


মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, টেমস নদীর তীরে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন বিএনপির নেতা। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের ১৬০ জনের স্টেটমেন্ট কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এত টাকা কোথায় পেলেন? যে মানুষ শহিদ মিনার, স্মৃতিসৌধে আসেন না; বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় চার নেতার বিষয়ে কথা বলেননি-তিনি আপন কেন হবেন? দেশের কোনো দুর্যোগে তাকে পাওয়া যায় না। তাকে কেন আমরা ভালোবাসব? তার জন্য বিএনপির এত মায়াকান্না কেন?


ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভেবেছে ১/১১-এর মতো একটা সুশীল সরকার আসবে। তা আর হবে না। জনগণ কাকে ভোট দেবে ঠিক করে ফেলেছে। জরিপে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে। নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপিকে না করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝতে পারলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ফাইনাল খেলা হবে নির্বাচনের মাঠে।


যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বেশ ভালো কাজ। এখানে যারা আসেন, তারা সারাজীবন যুবলীগ করবেন না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। খারাপ ২০ জনের চেয়ে ভালো দুজনই যথেষ্ট। খারাপরা নিজের অর্জনকে বিসর্জন দেয়। খারাপ আচরণের জন্য আমাদের মানুষের কাছে ছোট করে। আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দল নয়।


যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মুহাম্মদ বদিউল আলম বদি, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ। দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।


শেয়ার করুন