২৯ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ১২:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতি, হাতবোমা বিস্ফোরণ
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১১-২০২৫
রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতি, হাতবোমা বিস্ফোরণ

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোট বুলনপুর এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা কয়েকজন বলছেন, কোর্ট বুলনপুর মোড়ে ওয়ার্ড বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনি প্রচারের প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়। ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব রুবেল সভা আহ্বান করেন। আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে যোগ দেন সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা রুহুল আমিন টুনু। সভায় টুনুর উপস্থিতি দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওয়ার্ড সভাপতি রকিব উদ্দিন টুটুল। টুনু সভায় কেন, কে ডেকেছে তাকে- এমন প্রশ্ন তোলেন।


এ নিয়ে টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক রুবেলের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্লোগান দিতে দিতে টুটুল ও তার অনুসারীরা সভাস্থল ত্যাগ করেন।

সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব রুবেল বলেন, সভায় থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজিমুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুলও উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির সিনিয়র নেতা হিসেবে টুনুকে সভায় ডাকা হয়েছিল। সভাপতি টুটুল বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ৩০-৪০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং কার্যালয়ের সামনে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে কেউ আহত হয়নি।

বিএনপি নেতা রুহুল আমিন টুনু বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতি করি। গত সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সাময়িক বহিষ্কার হয়েছিলাম। তবে গত ২৪ নভেম্বর হাই কমান্ড আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। সে অনুযায়ী আমি সব কার্যক্রমে অংশ নিতে পারি। রুবেলের আমন্ত্রণেই সভায় গিয়েছিলাম। যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”


এ বিষয়ে ওয়ার্ড সভাপতি রকিব উদ্দিন টুটুলের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “বিষয়টি মহানগর কমিটিকে জানানো হয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।”

রাজপাড়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, “বিএনপি অফিসে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। হাতাহাতি ও একটি হাতবোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।”

শেয়ার করুন