০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০৭:৫৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো সেই ছাত্রলীগ নেত্রীর কক্ষ সিলগালা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৯-২০২৩
রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো সেই ছাত্রলীগ নেত্রীর কক্ষ সিলগালা

নিয়ম না মানায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী নাশরাত আর্শিয়ানা ঐশীর কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছে হল প্রশাসন।


সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ওই কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে।


জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেত্রী নাশরাত আর্শিয়ানা ঐশী রাবি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং ২৮৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্রী। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাবি ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।


এদিকে হল সূত্রে জানা যায়, দুই আসনের একটি একাই থাকতেন ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশী। হল প্রশাসন এর আগে এ বিষয়ে কয়েকবার তাকে অবগত করেন। এসব বিষয় নিয়ে হল প্রশাসন ও ঐশীর মধ্যে বেশ ঝামেলা হয়। ওই ঝামেলার না মেটাতে পারার একপর্যায়ে হল প্রশাসন তার কক্ষটি সিলগালা করে দেয়।


ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশী বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এমন ঘটনার সূত্রপাত। প্রথমে হলের প্রাধ্যক্ষ রাগান্বিত হয়ে এ কাজ করেছিলেন। তারপর আমাদের বড় ভাইয়েরা প্রাধ্যক্ষ ও উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেছেন।


রাবি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাজরিন মেধা বলেন, তাদের হলে কোনো সিঙ্গেল রুম নেই। ঐশী তার রুমে একা থাকেন। ওই রুমে অন্য কাউকে সিট বরাদ্দ দিলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রাধ্যক্ষ ম্যাম একাধিকবার তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ডাবল সিটের রুমে তিনি একা থাকতে চান। এটি কেন্দ্র করেই তার কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।


হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মণি কৃষ্ণ মোহন্ত জানান, হলের ন্যূনতম কোনো নিয়মনীতি মানতেন না ছাত্রলীগের ওই নেত্রী। সবসময়ই হলের অভ্যন্তরে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতেন। তার বিষয়গুলো নিয়ে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওই কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।


ড. মণি কৃষ্ণ মোহন্ত আরও বলেন, হলের ২৮৮ নম্বর কক্ষটি ডাবল সিটের। কিন্তু শুরু থেকে ঐশী ওই কক্ষে একা থাকেন। তার কক্ষে কাউকে সিট বরাদ্দ দেওয়া হলে তিনি উঠতে দেন না। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন থেকে মাসখানেক আগে চিঠি ইস্যু করা হয়। তিনি চিঠির কোনো জবাব দেননি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান।


প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফারজানা কাইয়ুম কেয়া বলেন, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ। তাই কিছু বলতে পারব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদেশে আছেন। তিনি ফিরলে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারব।


শেয়ার করুন