২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন
১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে থাইল্যান্ডে ফিরলেন থাকসিন, যেতে পারেন জেলে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৮-২০২৩
১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে থাইল্যান্ডে ফিরলেন থাকসিন, যেতে পারেন জেলে

অবশেষে নানা নাটকীয়তা শেষে দেশে ফিরেছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তাঁর ব্যক্তিগত বিমান ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এদিকে, আগের একটি মামলায় দণ্ডিত হওয়া তাঁকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আদালতে নেওয়ার কথা রয়েছে। 


থাই সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ডন মুয়াং বিমানবন্দরের প্রাইভেট রানওয়েতে অবতরণ করে থাকসিনকে বহনকারী বিমানটি। একটু পরই গাঢ় নীল রঙের স্যুট এবং গোলাপি টাই পরিহিত অবস্থায় বিমান থেকে বের হয়ে আসেন তিনি। তাঁকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। তাদের অধিকাংশ থাকসিনের মেয়ের নেতৃত্বাধীন ফেউ থাই পার্টির নেতা-কর্মী। 


বিমান থেকে বেরিয়ে তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে টার্মিনাল ভবনের দিকে এগিয়ে যান থাকসিন। পরে টার্মিনাল ভবনের পাশে স্থাপিত থাই রাজার প্রতিকৃতির সামনে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে টার্মিনালের বাইরে উপস্থিত হাজারো মানুষের উদ্দেশ্যে প্রথমে হাত জোড় করে এবং পরে এক হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। 


এদিকে, থাইল্যান্ডের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দর থেকে সোজা থাই সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তাঁর ওপর আরোপিত দণ্ডের বিষয়গুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। তাই কোনো সূত্রই নিশ্চিত করতে বলতে পারছেন না, থাকসিন কি জেলে যাবেন নাকি আইনি প্রক্রিয়ায় জেলের বাইরে থাকবেন। 


এর আগে, এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। অবশ্য মাঝে একবার ২০০৮ সালে তিনি থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে থাকসিনের অনুপস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে চারটি মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়।


শেয়ার করুন