২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:১০:৫৫ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক যাচ্ছেন রোববার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২৩
প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক যাচ্ছেন রোববার

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার নিউইয়র্কে যাচ্ছেন। তিনি ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র/সরকার প্রধানের (মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সেসব দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মূল বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে যুদ্ধবিগ্রহ পরিহার করে চলমান খাদ্য ও জ্বালানি সংকট নিরসন, আর্থিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা, বিশ্ব শান্তি, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর বৈশ্বিক উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন প্রভৃতি বিষয়ে এবারের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপরন্তু অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং এর স্থায়ী ও টেকসই সমাধানের বিষয়টিও ব্যাপকভাবে আলোচিত হবে, যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে নিউইয়র্কে যাবেন।

ইউনূসের মামলা পর্যবেক্ষণে আবেদন আসেনি : ড. ইউনূসের পক্ষে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বনেতারা চাইলে ইউনূসের মামলা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সংবাদ সম্মেলনে মামলা পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো আবেদন এসেছে কিনা জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, না, কেউ যোগাযোগ করেনি।

মোমেন বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা সব সময় বলছি, তিনি সম্মানিত নাগরিক এবং তিনি দেশের আইনকানুন জানেন। তার বিরুদ্ধে মামলা সরকার করেনি। যারা ভুক্তভোগী, তারা করেছেন। মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় চলছে। আমাদের কিছুই করার নেই। আদালতকে সরকার কোনোভাবে প্রভাবিত করবে না। আমাদের আইন ব্যবস্থা স্বাধীন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি পণ্ডিতরা, নামিদামি লোকেরা, তারা পুরোটা জানেন না। তারা মামলা সম্পর্কে না জেনে বন্ধ করে দিতে বলেছেন। সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই মামলা বন্ধ করার। নোবেল বিজয়ী হলেই তিনি সব অপরাধের ঊর্ধ্বে, তা ঠিক নয়।

মোমেন বলেন, যদি তিনি (ড. ইউনূস) কোনো অপরাধ না করে থাকেন, তাহলে তো ভয়ের কোনো কারণ নেই। বিচার তার পক্ষে যেতে পারে, যদি তিনি অপরাধ না করে থাকেন। তার অপরাধবোধ থাকার কারণটা তো খুব দুঃখজনক। এ রকম নামিদামি লোক ভয়ে আছেন কেন? দোষী থাকলে একটু ভয় থাকে।’

শেয়ার করুন