পাকিস্তানি তরুণ লেগ স্পিনার শাদাব খান। এবারের এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে দারুণ বোলিং দিয়েই সিরিজ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সে ধার বজায় রাখতে পারেননি শাদাব। স্বাভাবিক কারণেই পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট তার উপর অসন্তুষ্ট।
এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল জিও নিউজ। প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্টের অসন্তুষ্টির কারণে আসন্ন ভারত বিশ্বকাপে দল থেকে তাকে বাদ দিয়ে তরুণ লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে নেওয়ার কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আসছে অক্টোবরের শুরুতেই ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ। এই বড় আসরের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে পিসিবি। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আবরার ছাড়াও জায়গা পেতে পারেন অভিজ্ঞ পেসার হাসান আলি। কারণ পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে রয়েছেন। যেমন- চোটের কারণে বিশ্বকাপ মাটি হতে পারে নাসিম শাহের। তার পরিবর্তেই সুযোগ পেতে পারেন হাসান আলি। তবে জামান খানও আছেন বিকল্প ভাবনায়।
এশিয়া কাপে ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন শাদাব। এর মধ্যে ৪টিই নেপালের বিপক্ষে। বেশ খরুচেও ছিলেন তিনি। আসরে তার ইকোনমি রেট ছিল ৫.৮৮। তবে ভারতের বিপক্ষে একটু বেশিই খরুচে ছিলেন। প্রথম ম্যাচে ৯ ওভার বল করে দিয়েছেন ৫৭ রান। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ ওভারে ১টি উইকেট নিয়েছেন ৭১ রানের বিনিময়ে। যে কারণে স্পিনে বিকল্প খুঁজছে পাকিস্তান। আবরারকে নিয়ে ভাবছেন পিসিবি কর্তারা। যদিও ৬টি টেস্ট খেললেও এখনও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি তার।
সবমিলিয়ে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে টিম কম্বিনেশনের গভীর বিশ্লেষণ করতে বাধ্য করেছে। সম্প্রতি নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে অধিনায়ক বাবর আজমের। গতকাল সোমবার পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফের সঙ্গে প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক ও বাবরের ফের আলোচনায় বসার কথা ছিল। আশরাফের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করবে দল গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ক্রিকেট পাকিস্তান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের আলোকে মোহাম্মদ হারিস, উসামা মীর, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র এবং ফাহিম আশরাফের বিশ্বকাপ দলে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। হাসান আলি এবং ডানহাতি লেগ-ব্রেক স্পিনার আবরার আহমেদের ১৫ সদস্যের দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
অবশ্য বিশ্বকাপের মতো এত বড় ইভেন্টে অভিজ্ঞতার কারণে টিকে যেতে পারেন অফ-ফর্মে থাকা শাদাব ও ফখর জামান। যদিও সহ-অধিনায়কের পদ হারাতে পারেন তিনি। বরং বাবরের সহকারী হতে পারেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।