২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৩:০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতির আলোচনায় জাহাঙ্গীর আলম
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২৩
রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতির আলোচনায় জাহাঙ্গীর আলম

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী নগর ও জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে এখন উজ্জীবিত যুবলীগ। সম্মেলনকে ঘিরেও রাজশাহী যুবলীগে প্রাণ ফিরে এসেছে। পদ প্রত্যাশিরাও হয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মী মুখি। জেলা ও নগরীজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন। কে হচ্ছেন রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবলীগের আগামী দিনের কান্ডারী। এ নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।


এরই মাঝে জেলা যুবলীগের সভাপতি হওয়ার আলোচনায় এসেছেন রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম।


গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাকে জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই এমন পোস্ট ভেসে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।


আব্দুল করিম তার ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের গর্ব আমাদের অহংকার উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভাইকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। তিনি ক্লান্তহীন এক পরিশ্রমী জনদরদী রাজনীতির মাঠে এক দূরন্ত পথিক। তিনি কখনোই বলেন না যে আমি ক্লান্ত। যিনি সব সময় মানুষের পাশে থাকতে ভালোবাসেন।


গোদাগাড়ী পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের গর্ব আমাদের অহংকার উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভাইকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই।


এমনি ভাবে অনেকেই জাহাঙ্গীর আলমকে জেলা যুবলীগের সভাপতির আসনে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এসব পোস্টে অনেককে তাকে সমর্থন জানিয়ে সভাপতির নেতৃত্বে দেখার কথা জানিয়েছেন।


জানাগেছে, ২০১৯ সালে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন মো. জাহাঙ্গীর আলম। ১৮৮৯ সালে গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৮ সালে গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। ২০১৪ সালে গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। ২০১৫ সাল থেকে অদ্যবধি গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।


এসব বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অনেক নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা আমাকে জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের এমন ভালোবাসা পাওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের। আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত রাজনীতির মাঠে আছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা উপহার দিয়েছিলেন বলেই আজ আমি শেখ হাসিনার হাততে শক্তিশালী করতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে দিয়ে যদি নেতৃবৃন্দ মনে করেন জেলা যুবলীগ চাঙ্গ হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুবলীগ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে তাহলে আমি সেই নেতৃত্ব গ্রহণ করতে রাজি আছি। আমি সারাটি জীবনের আওয়ামী লীগের আদর্শের রাজনীতি ধারন করে আগামীর পথ চলতে চাই বলে জানান।


এবার যুবলীগকে চাঙ্গা করতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা সভাপতি হিসাবে নতুন মুখের ওপর ভরসা রাখতে চাচ্ছেন। যুবলীগের নেতাকর্মীরা চাচ্ছেন তরুণ নেতৃত্ব। সব সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, আপদে বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন এমন সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য হাইকমান্ডের কাছেও আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।


এ দিকে রাজশাহী জেলা যুবলীগের কমিটি হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ। সে সময় দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি হন আবু সালেহ। আবু সালেহ ২০০৪ সালে প্রথম জেলা যুবলীগের সভাপতি হন। এরপর তিনিও ১৯ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে আবু সালেহর কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হন খালিদ ওয়াসি কেটু। কিছুদিন পর কেটু মারা গেলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন আলী আজম সেন্টু।


জেলা কমিটির জন্য সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন নেতা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তবে গঠনতন্ত্র মেনে এবার প্রার্থী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত দেননি সভাপতি সালেহ। জেলায় সভাপতি পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বর্তমান সহসভাপতি মাহমুদ হাসান ফয়সাল সজল, মোজাহিদ হোসেন মানিক, আলমগীর মুর্শেদ রঞ্জু, আনোয়ার হোসেন, তাসিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম রাজা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আযম সেন্টু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন রুবন, পবা উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি এমদাদুল হক, রেজাউন নবী আল মামুন। আর সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন, সামাউন ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেজানুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু প্রমুখ।

শেয়ার করুন