২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০২:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন
খোলা ও প্যাকেটের আটায় দামের ব্যবধান ১৫ টাকা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৯-২০২৩
খোলা ও প্যাকেটের আটায় দামের ব্যবধান ১৫ টাকা

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম ৪৫ টাকা। একই আটা প্যাকেটে ঢুকলেই দাম হয়ে যাচ্ছে ৬০ টাকা। অর্থাৎ খোলা ও প্যাকেটের আটায় দামের ব্যবধান কেজিতে ১৫ টাকা। শুধু প্যাকেজিংয়ের কারণে একই পণ্যের দামে এত ব্যবধান নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। আর ভোক্তা অধিকারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা প্রতারণার শামিল।


প্যাকেজিং তৈরির প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক আবদুস সাত্তার বলেন, দুই কেজি আটা তৈরির একটি প্যাকেটের দাম পড়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত; যার মানে দাঁড়ায় দুই কেজি আটার প্যাকেজিং খরচ সর্বোচ্চ ৩ টাকা। অথচ প্যাকেটজাত করার পর সেই ২ কেজি আটা ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে করপোরেট কোম্পানিগুলো।


বাজারে বর্তমানে বসুন্ধরা, পুষ্টি, তীর, পিওর, ইফাদসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত আটা আছে। সব কটি কোম্পানির দুই কেজি ওজনের প্রতি প্যাকেট আটার খুচরা মূল্য ১২০ টাকা। কিন্তু একই পরিমাণ আটা খোলা কিনলে দাম পড়ে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা।


খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দামে অতিরিক্ত ব্যবধানকে প্রতারণার শামিল বলেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, খোলা ও প্যাকেট আটায় বাড়তি মুনাফা আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।


দেশের মানুষ বছরের পর বছর ধরে খোলা আটা খেয়ে অভ্যস্ত। আর এ চাহিদা মেটাতে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আটার মিল গড়ে উঠেছিল। কিন্তু এ খাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করার পর প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ধীরে ধীরে অনেক মিল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আটার বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন তারা ইচ্ছেমতো প্যাকেটের গায়ে দাম বসিয়ে দিচ্ছে।


আটার দাম বেশি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, মিলে তাঁরা খোলা আটা ৩২ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৪৩ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে ডিলার ও পাইকারি পর্যায়ে দুই হাত বদলে দাম কিছুটা বাড়ছে।


রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ‘আটার দাম কম বা বেশি হওয়ার পেছনে ভুসির দামের ওপর নির্ভর করছে। ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধ থাকলেও অবাধে ভুসি আমদানি হচ্ছে। এতে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা আটার দাম কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি না।’


শেয়ার করুন