২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৬:০৯:২৯ অপরাহ্ন
জমি রেজিস্ট্রেশনে কর কমেছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১০-২০২৩
জমি রেজিস্ট্রেশনে কর কমেছে

 জমি রেজিস্ট্রেশনে কর কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন কর থেকে সরে এসে মৌজাভিত্তিক জমি কর নির্ধারণ করা হয়েছে।


বুধবার (৪ অক্টোবর) এনবিআর কর নীতির সদস্য ড. সামস উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


প্রজ্ঞাপনে মৌজা অনুযায়ী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার জমি নিবন্ধন কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে উৎসে কর বিধিমালায় জমি নিবন্ধনের সর্বোচ্চ করহার ছিল ২০ লাখ টাকা বা দলিল মূল্যের ৮ শতাংশের মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ, যা এখন সংশোধিত এসআরও-তে করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা বা দলিল মূল্যের ওপর ৮ শতাংশের যেটি সর্বোচ্চ।


নতুন আদেশ অনুযায়ী জমিকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ শ্রেণির জমি সরকারি সংস্থা নির্মিত বাণিজ্যিক এলাকা, ‘খ’ শ্রেণি সরকারি সংস্থার আবাসিক এলাকা, ‘গ’ ও ‘ঘ’ শ্রেণি হবে যথাক্রমে বেসরকারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে। শ্রেণি অনুযায়ী নিবন্ধন কর নির্ধারণ করা হয়েছে।


এর আগে আয়কর আইন ২০২৩-এর আওতায় ‘উৎসে কর বিধিমালা’ অনুসারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের সকল এলাকার সম্পত্তি নিবন্ধন কর দ্বিগুণ করা হয়।


বাংলাদেশের যে কোনো এলাকায় স্থাবর সম্পত্তি বা জমি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর হোক না কেন মালিকানা অর্জন করতে কর দ্বিগুণ গুনতে হবে। অর্থাৎ যেখানে রেজিস্ট্রেশনে যে এলাকায় ১, ৩ ও ৪ শতাংশ কর ছিল তা বৃদ্ধি করে ২, ৬ ও ৮ শতাংশ করা হয়।


নিবন্ধন কর হিসেবে রাজধানীর গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থ সাউথ রোড, মতিঝিল সম্প্রসারিত এলাকা ও মহাখালী এলাকায় সম্পত্তি কিনলে ক্রেতাকে জমি, ফ্ল্যাট বা যে কোনো স্থাপনা নিবন্ধনের জন্য কাঠা প্রতি ৮ শতাংশ বা ২০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা গুনতে হতো।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ জুন জাতীয় সংসদে ‘আয়কর বিল-২০২৩’ পাস হয়। গত ৩ জুলাই আয়কর আইন ২০২৩ এর আওতায় উৎসে কর নতুন বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করে এনবিআর।


শেয়ার করুন