০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য স্বাধীন গণমাধ্যমে অযাচিত হস্তক্ষেপ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১০-২০২৩
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য স্বাধীন গণমাধ্যমে অযাচিত হস্তক্ষেপ

গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস’র বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ। যুক্তরাষ্টের মুক্ত গণমাধ্যমের নীতির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না।


মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ভিসা নীতির নামে সংবাদমাধ্যমে মার্কিন চাপ’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস’র বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ। আমরা কোনো প্রভু চাই না। আমরা বন্ধু চাই। বাংলাদেশ কোনো প্রভুর কাছে মাথা নত করবে না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য আমাদের জন্য অবমাননাকর।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেকই হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ মানা হবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা বিরোধীতা করেছিল। মার্কিনীরা বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে ভিসানীতি ও স্যাংসনের নামে জাতয়ি নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের নিয়ে আমেরিকা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।


বিশেষ অতিথির বক্তৃতায়  বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত গণমাধ্যমের দেশ। সেখানেও সাংবাদিক নির্যাতন হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস’র বক্তব্য তার দেশেরই মুক্ত গণমাধ্যমের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। পিটার হাসের বক্তব্য পরোক্ষাভাবে গণমাধ্যমের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন গণমাধ্যমের যে নীতি তার বরখেলাপ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের উপর কারো চোখ রাঙানো স্বীকার করবো না।


সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, মহাসচিব শাহীন বাবু, সাংবাদিক নেতা লায়েকউজ্জমান, আজমল হক হেলাল, আবু সাঈদ প্রমুখ।


শেয়ার করুন