শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে আঙুলের ইনজুরিতে না পড়লে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের টেস্ট দলেও থাকতেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু ইনজুরির কারণে ক্যারিবিয়ানে টেস্ট খেলা হচ্ছে না বাঁহাতি এ পেসারের। যার আক্ষেপে পুড়ছেন তিনি।
আবার ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলবেন, বোলিং করবেন, যার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে এ তরুণ পেসারকে। ইনজুরি কাটিয়ে বোলিং অনুশীলনে ফিরেছেন শরিফুল। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামের নেটে সাইফউদ্দিনকে বোলিং করেছেন। ধীরে ধীরে উইন্ডিজ সফরের জন্য প্রস্ত্তত হচ্ছে তিনি। এই সফরে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-২০ দলে আছেন শরিফুল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রস্ত্ততি সম্পর্কে গতকাল এ তরুণ পেসার বলেছেন, ‘প্রথমে একটু কষ্ট লাগছিল। আজকে (গতকাল) আগের চেয়ে ভালো লাগছে। কিছু দিন ধরে বল করছি, ড্রিল করছি। আগের ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছি।’
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বোলিংয়ের রোমাঞ্চ ধরা পড়েছে শরিফুলের কণ্ঠে। টেস্টের আফসোস ভুলে ভালো কিছু করতে চান তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৪ টেস্ট, ১০ ওয়ানডে ও ১৯ টি-২০ খেলা এ পেসার বলেছেন, ‘আমি খুব রোমাঞ্চিত যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বল করব। আমার খুব ইচ্ছা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলার। আল্লাহর হুকুমে সেটা হয়ে ওঠেনি। পরেরবার সুযোগ এলে টেস্ট খেলার চেষ্টা করব। ওয়েস্ট ইন্ডিজে কোনো দল খেলতে গেলে দেখতাম পেসাররা অনেক সাফল্য পাচ্ছে। এই সুযোগটা টেস্টে মিস করব।’
ক্যারিবিয়ানে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য। ওখানে ফুল লেন্থে বোলিং করতে হয়। যেখানে দেশে ব্যাক অব লেন্থে বোলিং করে অভ্যস্ত শরিফুলরা। উইন্ডিজে বোলিংয়ের কৌশল নিয়ে বাঁহাতি এ পেসার বলেন, ‘অবশ্যই, ওয়েস্ট ইন্ডিজে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয় আমাদের দেশের চেয়ে অনেকটাই সামনে বল করতে হবে। প্রথমে গিয়ে মানিয়ে নিতে হবে। টেস্ট স্কোয়াডে যারা আছে তারা হয়তো প্র্যাকটিস করছে। আমরাও গিয়ে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেব দলের জন্য তত ভালো হবে।’
ডিউক বলে বোলিং করা হয়নি শরিফুলের। তবে এই বলে সুইং, বাউন্স বেশি হলেও লাইন লেন্থ ধরে রাখাকেই মূল অস্ত্র মানছেন তিনি। গতকাল ২১ বছর বয়সী এ তরুণ বলেছেন, ‘এতটুকু জানি সিম একটু খাঁড়া থাকে, সুইং করে। জায়গায় বল করলেই যে কোনো কিছু হতে পারে, নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। লাইন-লেন্থ গুরুত্বপূর্ণ। বল যতই সুইং করুক বা সুবিধা দিক, লাইন-লেন্থে বল করতে হবে।’