২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১২:১৬:৪০ অপরাহ্ন
সৌদি’র অ্যাপাসের মাধ্যমে বিদেশগামী ২২৯ চাকরিপ্রার্থী রাজশাহীতে পরীক্ষা দিয়েছেন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১০-২০২৩
সৌদি’র অ্যাপাসের মাধ্যমে বিদেশগামী ২২৯ চাকরিপ্রার্থী রাজশাহীতে পরীক্ষা দিয়েছেন

রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ২২৯ জন বিদেশগামী চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছেন ২১৯ জন। আর অকৃতকার্য হয়েছেন ১০ জন। ওয়েলডিং, রেফ্রিজারেটর, অটো মোবাইলসহ ১২টি ট্রেডে এখানে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীরা বাইরে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সৌদি আরব থেকে পরিচালিত অ্যাপসের মাধ্যমে লিখিত ও প্রেক্টিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।


সৌদিগামী চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের পছন্দের এ্যাজেন্টের মাধ্যমে ৩৩টি বিষয়ে বাইরে থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এর পর অনলাইনে আবেদন করে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন।


এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাক্টর গোলাম মো: সারোয়ার হোসেন জানান, সৌদি আরবগামী চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ১২টি ট্রেডে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষার জন্য পুরো এক মাসের দিনক্ষণ আগে থেকেই অনলাইনে দেওযা থাকে। চাকরিপ্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনের পর তাঁদের ওই সমস্ত তারিখের যে কোনো দিনে (তাঁদের পছন্দমতো) এসে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। আবেদনকারী পরীক্ষা দিতে এলে প্রথমে ৪০ মিনিটের ৩০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে এই পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। এতে পুরো প্রশ্ন উঠে আসে সৌদি থেকে পরিচালিত অ্যাপসের মাধ্যমে।


ওই প্রশ্নগুলো করা হয় পরীক্ষার্থীদের। এর পর যারা কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ তাঁরা নিজেরাই মাউস টিপে সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্নতে ক্লিক করেন। আর যারা কমিউটার পারেন না বা বাংলা লিখতে পড়তে পারেন না, তাদের প্রশ্ন করেন পরীক্ষক। সেই প্রশ্নের চারটি উত্তরের মধ্যে পরীক্ষার্থী যেটিতে টিক চিহ্ণ দিতে বলেন, পরীক্ষক সেটিতে টিক চিহ্ণ দিয়ে দেন। এভাবে লিখিত পরীক্ষা হওয়ার পরে ওই ফরমটি আবার ফেরত পাঠানো হয় সৌদি আরবের তাকামুল থেকে পাঠানো অ্যাপসে। এর পর একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় প্রেক্টিক্যাল পরীক্ষা। এখানেও কি কি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটি ওই সফটওয়ারের মাধ্যমে পরিক্ষককে জানিয়ে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আরেকটি ফরমসহ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অবস্থায় পরীক্ষার্থীর চারটি করে ছবি যুক্ত করে পাঠানো হয় ওই অ্যাপসে। এর পর তাৎক্ষণিক ফলাফলও জানিয়ে দেওয়া হয় অ্যাপসের মাধ্যমে। এর পর পরীক্ষার্থীদের নিজস্ব ইমেইলে চলে যায় পরীক্ষার সদনপত্র। সেই সনদপত্র নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা যেতে পারেন সৌদি আরবে।


এ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা রাজশাহীর পবা উপজেলার আজিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আবেদন করতে আমার ৫০ ডলারের সমান টাকা খরচ হয়েছে। এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে বসে আবেদন করেছি। ওই কম্পিউটার দোকানদারকে দিয়েছি ১০০ টাকা। এর বেশি আর কোনো খরচ হয়নি।’


রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত জুলাই মাস থেকে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১২টি ট্রেডে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আমরা শুধু পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এখানে টাকা-পয়সার কোনো লেনদেনের সুযোগ নাই। পরীক্ষার্থীরা খালি হাতে আসেন, আবার পরীক্ষা শেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। আমাদের উদ্দেশ্য দক্ষ জনশক্তি রপ্তানী করা। আমরা সেটি করতে স্বক্ষম হচ্ছি বলে আশা রাখি।’


তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার ফলাফলও এখানে উল্টা-পাল্টা করার সুযোগ নাই। কারণ পরীক্ষার্থী চাকরি নিয়ে সৌদিতে গিয়ে যুদ সে বিষয়ে কাজ করতে না পারে, তাহলে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন হবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও খারাপ প্রভাব পড়বে। কাজেই আমরা দক্ষ জনশক্তি রপ্তানী করতে বদ্ধ পরিকর।


শেয়ার করুন