রাজশাহীর বাঘায় প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে পল্লী চিকিৎসক নবিউল ইসলামকে (৪০) তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে মাঠের মধ্যে ফেলে রাখা হয়। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কেশবপুর বাজার থেকে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নবিউল ইসলাম মনিগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ মহাজনপাড়া গ্রামের সারোয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, নবিউল ইসলাম পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারে স্থানীয় পল্লী চিকিৎস। এ বাজারে তিনি চেম্বার দিয়ে রোগী দেখেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোগী দেখে চেম্বারের বাইরে বসে ছিলেন। এ সময় ৩-৪ জন এসে প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে মাইক্রো গাড়িতে উঠতে বলেন। উঠতে না চাইলে জোরপূর্বক মাইক্রো গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে ইউসুফপুর ফাঁকা মাঠের মধ্যে হাতমুখ বেধে তারা থারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। সেখান থেকে তিনি কৌশলে গ্রামের মধ্যে যায়। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে নবিউল ইসলামের ভাই হারুন হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। ভাইয়ের অবস্থা খুব একটা ভাল না। এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি। তার সাথে কথা না বলে সঠিক কিছু বলতে পারছিনা। তবে প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে ভাইকে উঠে নিয়ে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যাল ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তার পরিবারকে খবর দিলে তার আসেন। জানামতে তিনি মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে মুখিকভাবে শুনেছি। তবে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।