গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রস্তুতিসভা থেকে বিএনপির আটক নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।
আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে গাজীপুরের টঙ্গীতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে গাজীপুর মহানগর তৃণমূল বিএনপির নেতা–কর্মীরা। সেখান থেকে বিএনপির ৫৭ জন নেতা–কর্মীকে আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানা–পুলিশ। রাতেই ৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। থানার হাজতখানায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় টঙ্গী পশ্চিম থানা ও গাছা থানায় আসামিদের স্থানান্তর করা হয়।
গতকাল রাত ১টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিকেলে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকারের বাসায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বৈঠক থেকে বিএনপি নেতাদের আটক করা হয়। পরে রাতেই ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এ দিকে থানায় আটকের পর আসাদুজ্জামান আসাদ নামে এক বিএনপি নেতা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আসাদুজ্জামান আসাদ গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ দলীয় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুয়েল মন্ডলের বড় ভাই।
গ্রেপ্তার বাকি নেতা–কর্মীদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে। টঙ্গী পূর্ব থানায় স্থান-সংকুলান না হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দুইটি থানায় তাঁদের রাখা হয়েছে।