দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তথ্য উপস্থাপন করেছে। তাদের সক্ষমতা কী আছে, অতীতের নির্বাচনের তাদের জনবলকে কীভাবে কেন্দ্রে এবং অন্যান্য কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে নিয়োজিত করা হলে তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে- এ বিষয়গুলো কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছে। কমিশন তাদের বক্তব্য শুনেছে এবং কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভোটের মাঠের পরিবেশ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কোনো বক্তব্য আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন ও তাদের প্রধানরা যে বক্তব্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছেন, এতে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের বড় ধরণের কোনো প্রতিবন্ধকতা নাই। যেহেতু গতকালের হরতালের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আবার তিনদিনের অবরোধ দিয়েছে, সেক্ষেত্রে তারা সতর্ক থাকছে যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি না ঘটে।’
জাহাংগীর বলেন, ‘নির্বাচনের যে ধাপগুলো আছে- নির্বাচনের সময়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়, তফসিল ঘোষণার পরে, প্রতীক বরাদ্দ থেকে নির্বাচনের তারিখ পর্যন্ত যখন যে পরিস্থিতি আসবে, তখন তারা কমিশনকে তা অবহিত করবে এবং কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে তখন কৌশল গ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্র সকালে পাঠানো হবে নাকি আগেরদিন রাতে পাঠানো হবে তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে আরও অনেক সময় রয়েছে। ওই সময়ের পরিস্থিতির কেমন থাকবে তার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারা এ বিষয়ে মতামত দেবে। কেননা, এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয় নাই। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় নাই। এটা অনেক দুরের কাজ। এখন যে কথাবার্তা হয়েছে বর্তমানে যে বাংলাদেশের আই-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে, তা কমিশনকে অবহিত করেছে।’
তফসিল ঘোষণা নিয়ে যদি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি আরও অবনতি হয়ে যায়, তখন কী হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হরতাল শেষে ইতিমধ্যে আরেকটি সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে। এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি আছে তা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছে। আবার যখন যে পরিস্থিতি আসবে সেটাও তারা উপস্থাপন করবে। তাদের যে প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ আছে। তফসিলের পরিবেশ আছে।
তিনি আরও বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধের যে কোনো সময় তফসিল হবে, যেটা আগে থেকেই কমিশন গণমাধ্যমকে অবহিত করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনারসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এনএসআই য়েরর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের, আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, এসবি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, র্যা ব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের প্রতিনিধি, ডিজিএফআই মহাপরিচালকের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডয়েরর মহাপরিচালকের প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।