এশিয়া কাপে ব্যর্থ হলেও ফখর জামানকে বিশ্বকাপে রেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দেওয়ার বিপরীতে প্রথম ম্যাচে হতাশ করেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১২ রান করার পর তো একাদশ থেকে বাদ পড়েন বাঁহাতি ওপেনার।
পাঁচ ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকার পর আবারও সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ফখর। ১৯ রানের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। সর্বশেষ ম্যাচে সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়লেও আজ তা হতে দেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৬৩ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন। অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংসে ৭ ছক্কার বিপরীতে ৯ ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
বিশ্বকাপের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ফখর। তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি আবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্রুততম। আগের রেকর্ডটি ছিল ইমরান নাজিরের দখলে। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
ফখরের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ খেলছে পাকিস্তান। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পাকিস্তানকে রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিততে হবে। কিন্তু ৪০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। দলীয় ৬ রানে আবদুল্লাহ শফিক আউট হন। তবে বাবর আজমকে নিয়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ফখর।
দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েছেন ফখর–বাবর। সেটিও আবার মাত্র ১১৭ বলে। ১০৬ রান করা ফখরের সঙ্গে অপরাজিত আছেন বাবর। ৪৭ রানে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক। দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টি নেমেছে। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬০। পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ২৪২ রান। আর খেলা না হলে বৃষ্টি আইনে ১০ রানে জিতবে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ীরা।