২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
মেট্রোরেলে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ, তবুও স্বস্তি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৩
মেট্রোরেলে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ, তবুও স্বস্তি

উত্তরা থেকে মতিঝিলে মেট্রোরেল চলাচলের দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবার সকালের প্রথম ট্রিপে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ছয়টি কোচেই ছিল যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। যাত্রীসাধারণের দাঁড়ানোর জায়গাও ছিল না। প্রচণ্ড ভিড় থাকলেও যাতায়াতে সময় কম ব্যয় হওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। 


উত্তরা থেকে সাড়ে ৭টায় যে ট্রেনটি ছেড়ে আসে সেটির যাত্রী ছিলেন ঢাকার আদালতের আইনজীবী পলাশ বৈদ্য। তিনি মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন থেকে উঠে সচিবালয় স্টেশনে নামেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম দিন থেকে দ্বিতীয় দিনে ভিড় বেশি ছিল। যাত্রীদের দাঁড়াতেই কষ্ট হচ্ছিল। মাত্র ২০ মিনিটে তিনি মিরপুর-১০ থেকে সচিবালয়ে এসেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, এটাই বড় স্বস্তি। 


নাসরিন সুলতানা ছোট দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজীপাড়া থেকে সচিবালয় এসে নেমেছেন। তিনি বংশাল সুরিটোলায় এলাকায় যাবেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেমেয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে এসেছি। কিন্তু কষ্ট হয়নি। এত অল্প সময়ে এসেছি যে কষ্ট মনেই হয় না। আমরা অনেক খুশি।’ 


৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ আফজাল হোসেন শেওড়াপাড়া থেকে মতিঝিলে যাওয়ার জন্য মেট্রোরেলে চড়েন। তাঁকে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘কষ্ট হবে কেন বাবা। এটা তো স্বস্তির বাহন। অনেকেই আমাকে বসতে বলেছে। কিন্তু আমি বসিনি। দাঁড়িয়ে ঢাকার দৃশ্যগুলো দেখলাম। খুব ভালো লাগল।’ 


সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে আসা মেট্রোরেলের প্রথম ট্রিপের ছয়টি কোচেই তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও ও ফার্মগেট থেকে যাঁরা উঠেছেন তাঁরা কেউই বসার জায়গা পাননি। তারপরও কেউ অসন্তুষ্ট নন। সবাই খুশি। 


তবে সকাল সাড়ে ৭টার পরিবর্তে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করার জন্য যাত্রীরা দাবি করেছেন। নটর ডেম কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাইয়ান বলেন, তাঁদের ক্লাস শুরু হয় সকাল ৮টায়। সকালের ট্রেনটি ৭টায় ছাড়লে তাঁরা যথাসময়ে কলেজে উপস্থিত হতে পারবেন।


শেয়ার করুন