০১ মে ২০২৪, বুধবার, ১২:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন
শেষ ধাপে টানেলে আটকা শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ, প্রস্তুত ৪১ অ্যাম্বুলেন্স
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১১-২০২৩
শেষ ধাপে টানেলে আটকা শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ, প্রস্তুত ৪১ অ্যাম্বুলেন্স

ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি জেলায় ভূমিধসের কারণে টানেলে আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজ গড়িয়েছে ১৩তম দিনে। উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ শেষ ধাপে রয়েছে। শিগগিরই আটকে পড়াদের উদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদ্ধারের পর আটকে পড়াদের হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স। 


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার গভীর রাত নাগাদ আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে ছিল উদ্ধারকারী বাহিনী। উদ্ধারকারীরা আশা করছেন, শিগগিরই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।


উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, তারা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সেখান দিয়ে বড় ব্যাসের পাইপ বসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ড্রিলিং কাজ চলছে। কাজ করছে অগার মেশিনও। এই মেশিন কোনো বাধা না পেলে ঘণ্টায় তিন মিটার মাটি খুঁড়তে পারে। তবে মধ্যরাতের দিকে অগার মেশিনটি একটি স্টিলের বস্তুর সঙ্গে বাধা পায়। পরে মেটাল কাটার ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালু রাখা হয়।


তবে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে কেবল উদ্ধার করে আনাই শেষ কাজ নয়, ওই ৪১ জন বিগত ১২ দিন ধরে আটকে রয়েছেন টানেলে। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা ভালোমতো খাবার-পানি পাননি। বাইরের তুলনায় ভেতরের তাপমাত্রার পার্থক্যও বেশ। এ ছাড়া তাঁদের মানসিক পরিস্থিতি কেমন তাও অজানা। সব মিলিয়ে উদ্ধারকাজ শেষ হলেও ওই ৪১ জন শ্রমিকের উদ্ধার-পরবর্তী অবস্থা পর্যবেক্ষণ খুবই জরুরি। তাই তাঁদের হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স।


গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ৪১ জন শ্রমিকের আতঙ্কিত চেহারা। তাঁরা এখনো জীবিত আছেন। ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে অবস্থিত এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।


শেয়ার করুন