রাজশাহীতে ট্রাকের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর তিনটার দিকে পুঠিয়ার বেলপুকুর চেকপোস্ট এলাকায় রাজশাহী ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে এসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কান্তপুর গ্রামের ইনসাব আলী ৭৫, তার ছেলে আইয়ুব আলী লাবু (৩৫) ও মেয়ে পারভিন বেগম এবং ইনসাব আলীর নাতনি রাজশাহীর শাহ মখদুম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শারমিন ও একই উপজেলার মকামপুর গ্রামের সিএনজি চালক মোখলেসুর রহমান। নিতহরের স্বজনরা জানান, ইনসাব আলী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। তাকে কেমোথেরাপির জন্য রাজশাহীতে নিয়ে আসা হচ্ছিলো।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ডেপুটি কমিশনার জামিরুল ইসলাম জানান, নগরীর খড়খড়ি বাইপাস থেকে ট্রাক নাটোরের দিকে যাচ্ছিলো। আর সিএনজি নাটোর থেকে রাজশাহী আসার সময় বেলপুকুর চেকপোস্ট মোড়ে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ট্রাক ও সিএনজি খাদে পড়ে যায়।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে চারজন স্পটে মারা যায়। একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোফাক্কারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দুপুরে বেলপুকুর বাইপাস এলাকায় ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা ও সিএনজির যাত্রীরা নিহত হয়েছেন।তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনজন মারা যান।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকে ট্রাকের চালক ও তার সরকারি পালিয়ে গেছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের সদস্যরা জানান, বেলপুকুরের সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ হাসপাতাল এসেছে। মরদেহ গুলো মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।