২০২৪ সালের গ্রীষ্মের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা এবং চলমান যুদ্ধের একজন শীর্ষ কমান্ডার রমজান কাদিরভ। বুধবার রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের প্রেসিডেন্ট।
সাক্ষাৎকারে কাদিরভ বলেন, ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে, আমরা যদি তাদের রণকৌশল অনুসরণ করি— তাহলে আগামী তিন মাসের মধ্যে, অর্থাৎ শীত শেষ হওয়ার আগেই কিয়েভের দখল নেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির পুতিন) বারবার নির্দেশ দিয়েছেন, ইউক্রেনের ভবন ও অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি যেন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হয়। এ কারণে আমাদের খানিকটা বেশি সময় লাগবে। তবে আশা করছি, ২০২৪ সালের গ্রীষ্মের মধ্যেই এ যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, কারণ ইউক্রেনীয় বাহিনীর লোকবল, গোলাবারুদ ও রসদের যে অবস্থা, তাতে অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি—২০১৪ সালের জুনের আগেই তারা যুদ্ধ করার সক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে ফেলবে।
সাক্ষাৎকারে রমজান কাদিরভ আরও বলেন, ইউক্রেনে রুশ সেনারা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে এবং চেচেন সেনারা রুশ বাহিনীর সামনের সারিতে রয়েছে।
২০১৫ সালের মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, কৃষ্ণসাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবির চালানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধের গত প্রায় দু’বছরে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন প্রদেশ দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এসব প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছে মস্কো।
তবে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দু’পক্ষে লক্ষাধিক সেনা এবং হাজার হাজার বেসামরিক লোকজন নিহত হয়েছেন।
এ যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে গত কয়েক মাস ধরে এই সহায়তার প্রবাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।