শেখ হাসিনা আ.লীগের কাজ করে না, দেশের ও জনগণের সেবায় কাজ করে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের আলীগঞ্জ নতুন পাড়া ও বালিয়ার মোড় এলাকায় মহিলাদের নিয়ে পৃথক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব জানান।
আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কাজ করে না, দেশের কাজ করে। করোনার টিকা শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিয়েছেন নাকি সব দলের মানুষ? সেখানে কোনো দল দেখে নি। আমাদের নেত্রী ক্ষমতায় আছে, জনগণের টাকায় সেটা দিয়েছেন, কিন্তু মেধা তো শেখ হাসিনার। যে কোনো বিপদে, যে কোনো দুর্যোগে, যে কোনো সময় শেখ হাসিনা মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন,আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগেও সন্তানের নামের সাথে শুধু বাপের নাম ছিল। এখন কি তাই হয় নাকি মায়ের নামও যোগ হয়? এই মায়ের নাম যোগ কে করেছে, শেখ হাসিনা করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের মা-বোনদের সম্মানিত করেছেন। সেজন্যই তো শেখ হাসিনার জন্য মানুষের কাছে ভোট চাওয়া উচিত। ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের আলাদা একটা অধিকার আছে।
আসাদ বলেন, আর ৫ দিন পরই নতুন বই হাতে পেয়ে আপনার সন্তানরা যখন আনন্দিত হয়ে বাড়ি ফিরবে, তাদের এই হাসিমুখ দেখে কি আপনাদের মনে এতটুকুও আনন্দের উদ্রেক হবে না? আমরা যখন পড়াশোনা করেছি কেউ কোনোদিন নতুন বই পাবো ভাবিও নি। যারা একটু অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল তারাও নতুন বই পেতে পেতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ এমনকি অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষাও পার হতো। এই হাসির জন্য যদি আপনি আনন্দিত হন মনে রাখবেন সেই আনন্দের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান আছে। সেই কারণেই আপনার বিবেকের রায়টি নৌকায় চাই। এটি আমাদের হক, সেটা আপনাকে পরিশোধ করার অনুরোধ করতে চাই। যদি বিবেক বলে আপনারা আমাকে ভোট দিবেন, যদি না বলে অন্য যারা আছে তাদেরই দিবেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ বলেন, কিছু মানুষ আছে, নামাজ পড়ে কি না আমি জানি না কিন্তু ধর্ম নিয়ে ভালো তর্ক করে। ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম, পৃথিবীর তো আরও বড় বড় মুসলিম দেশ ছিল। ওদেরকে যখন মায়ানমার থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তখন কে জায়গা দিয়েছে, শেখ হাসিনাই তো দিয়েছে। আপনাদের চেয়েও বোধহয় ওরা অনেক ভালো অবস্থানে আছেন। যে মানুষটি এই কাজ করার জন্য বিশ্ব মানবতার জননী উপাধি পেল, সেই মানুষটিই তো বাংলাদেশকে গড়বে।
সরকারের আমলে বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, অন্তঃসত্ত্বা ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। যে কারণে সব জায়গায় নারীদের জাগরণ তৈরি হয়েছে। একটা সময় নারীদের ভোট নিয়ে আমাদের ভয় ছিল, কিন্তু এখন আর নেই। নারীরা আমাকে যত বেশি ভোট দিবেন আমি তাদের উন্নয়নে তত বেশি কাজ করবো। সঙ্গত কারণেই আপনাদের বিবেকের রায়টি আমরা প্রত্যাশা করি। আগামী ৭ জানুয়ারি নারীরা দলে দলে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন বলে আশা করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদ।
উচ্চতর শিক্ষায় সেশনজট কমেছে দাবি করে আসাদ বলেন, আপনাদের সন্তানরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ বছরের পড়া ৮/৯ বছরেও শেষ হতো না। এখনকার ছাত্রদের বলবেন চার বছরের পড়া কয় বছর লাগে? করোনাকালীন সময়েও সেশনজটের একটা ভয় ছিল। দুই বছর গোটা পৃথিবী পিছিয়েছে, সেটিকেও কাছাকাছি জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। এটি শেখ হাসিনার মেধার গুণ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মতিউর রহমান চৈতী, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বেগম সুফিয়ান হাসান, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, হড়গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সংরক্ষিত নারী সদস্য রুপালী পারভীন, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, মতিউর রহমান, শাজাহান আলী, রেজাউল করিম প্রমুখ।