নতুন বছরের প্রথম দিনে আবারও মহাকাশ মিশন পাঠিয়েছে ভারত। এবার দেশটি এক্সপোস্যাট বা এক্স-পোলারিমিটার স্যাটেলাইট নামে পাঠিয়েছে যা, মহাশূন্যে কৃষ্ণগহ্বর পর্যবেক্ষণ করবে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই স্যাটেলাইট পাঠানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের সাহায্যে এই এক্সপোস্যাট বা এক্স-পোলারিমিটার স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো এই স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে।
ইসরো জানিয়েছে, মূলত কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল এবং নিউট্রন তারকা পর্যবেক্ষণ করবে এই এক্সপোস্যাট বা এক্স-পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত দ্বিতীয় দেশ হিসেবে মহাশূন্যে কৃষ্ণগহ্বর পর্যবেক্ষণকারী মিশন পাঠানো দেশের গৌরব অর্জন করল।
এক্সপোস্যাট বা এক্স-পোলারিমিটার স্যাটেলাইটের দুটি অংশ—পোলিক্স বা পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট যা এক্স-রে পর্যবেক্ষণ করবে এবং এক্সস্পেক্ট যা এক্সের বর্ণালি ও এর সময়কাল পর্যবেক্ষণ করবে। সম্মিলিতভাবে এই দুটি অংশ নিউট্রন তারকা ও কৃষ্ণগহ্বরের কাছের বিভিন্ন বিকিরণ নিয়ে গবেষণা করবে।
ইসরো আরও জানাচ্ছে, ভারতের এই মিশনটি থমসন স্পেক্ট্রোমিটারের সাহায্যে কৃষ্ণগহ্বর বা নিউট্রন তারকা থেকে নির্গত ৮-৩০ কিলোইলেক্ট্রন ভোল্টের মধ্যে থাকা এক্স-রে বর্ণালির মেরুকরণ এবং মহাজাগতিক এক্স-রে উৎসগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বর্ণালির বিষয়েও গবেষণা চালাবে।
ভারতের এই স্যাটেলাইট বা মিশনটি পাঠাতের খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি রুপি বা ৩০ মিলিয়ন ডলার। অথচ একই ধরনের মিশন—আইএক্সপিই—পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছিল ১৮৮ মিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে পাঠানো নাসার মিশনটির আয়ুষ্কাল ছিল যেখানে মাত্র ২ বছর, ভারতের দাবি—তাদের মিশনটির আয়ু হবে ৫ বছরেরও বেশি।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারত চাঁদে চন্দ্রযান-৩ নামে একটি মহাকাশ যান পাঠায় গত বছর। একই বছরে দেশটি সূর্য পর্যবেক্ষণ করতেও আদিত্য এল-১ নামে আরেকটি মিশন পাঠায়।