১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ০৭:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক: ধামইরহাট সীমান্তে ৪৫ বছরের ভূমি-বিরোধের অবসান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০১-২০২৪
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক: ধামইরহাট সীমান্তে ৪৫ বছরের ভূমি-বিরোধের অবসান

নওগাঁর ধামইরহাটে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে ৪৫ বছরের সীমান্তে ভূমি-বিরোধের স্থায়ীভাবে সমাধান করা হয়েছে। গতকাল রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পত্নীতলা (১৪ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন।


বিজিবি জানায়, গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ২৫৭ / ১৭-আরবি থেকে ২৫৮ /১-এস পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ জরিপ কার্যক্রমের জন্য উভয় দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) জরিপ ও চার্জ অফিসারের উপস্থিতিতে সীমান্ত পিলার ২৫৭ / ১৯-আরআই এর কাছে ভারতের অভ্যন্তরে রামচন্দ্রপুর এলাকায় বাংলাদেশের পক্ষে পত্নীতলা-১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন, বিজিবিএমএস, পিএসসি এবং ভারতীয় (বিএসএফ) সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষে ১৬৪ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক আরপিএস রাঠ্ঠির সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 


এ সময় পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং ভারতীয় ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের উপ-অধিনায়কের উপস্থিতিতে উভয় দেশের ল্যান্ড সার্ভেয়ার কর্তৃক বিরোধপূর্ণ জমির জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এবং চূড়ান্তভাবে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা শেষে বিরোধপূর্ণ ভূ-খণ্ডটি বাংলাদেশের পুনরায় নিশ্চিত হলে উভয় দেশের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি শূন্য লাইন চিহ্নিত করে ১০টি পিলার স্থাপন করেন। পিলার স্থাপনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ ভূ-খণ্ডের নিষ্পত্তি হয়। 


উল্লেখ্য উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২৫৭/২০-আর থেকে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রামচন্দ্রপুর নামক স্থানে প্রায় এক একর জমি ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পক্ষ থেকে ভোগদখলে বাধা দিয়ে আসছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ সীমান্ত পিলার ২৫৭ / ২০-আর এর কাছে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের জেলা পর্যায়ের ল্যান্ড সার্ভেয়ার প্রাথমিকভাবে বিরোধপূর্ণ জমির বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও জরিপ করা হয়। 


সরেজমিনে জরিপ শেষে দেখা যায় যে বিরোধপূর্ণ জমিটি বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড। এ ব্যাপারে বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে আশ্বস্ত করেন যে, বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্টের উপস্থিতিতে উভয় দেশের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে জরিপ সম্পন্ন করা হবে। এরই ভিত্তিতে ওই বিরোধপূর্ণ স্থানে পিলার বসিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ ভূ-খণ্ডের নিষ্পত্তি হয়।

















শেয়ার করুন