২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৮:৩৬:০৪ অপরাহ্ন
২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০১-২০২৪
২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের ২৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে (ইউজিসি)। ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।


গত ২৪ ডিসেম্বর ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন।


ইউজিসি জানিয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার পর এবার স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তির আগে শিক্ষার্থীরা যেন প্রতারিত না হয় সেজন্য এ ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়। শুধু উপাচার্য নেই এ তালিকা বাইরে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব, মামলা অনুমোদিত ক্যাম্পাস নেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে সতর্কতা জারি করা হবে। এ নিয়ে ইউজিসি কাজ করছে। খুবই শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি আকারে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ করা হবে।


সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে ১০৩টি। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ২৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ২৬টিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সতর্ক জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।


ইউজিসির সচিব ডক্টর ফেরদৌস জামান বলেন, প্রতি ভর্তি সেশনের আগে ইউজিসি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করে বার্তা দেওয়া হয়। যাতে কেউ ভর্তি হয়ে প্রতারিত না হয়। ইউজিসির ওয়েবসাইটে আমরা প্রকাশ করব কোন ইউনিভার্সিটির কী অবস্থান। কাদের কোন সাবজেক্ট অনুমোদিত। এই সতর্কীকরণ অতীতে যেভাবে আমরা করেছি, এ বছরও সেটি আমরা করব।


তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শর্ত অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বছরের ভেতর তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে আসতে হবে। এই পদ্ধতিতে তাদের শিক্ষাদান করতে হবে। যারা পারবে না, তারা কিন্তু হারিয়ে যাবে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।


ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইন ভঙ্গের কারণে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিলস্নার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।


এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না- সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান মঞ্জুরি কমিশনের।


শেয়ার করুন