বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। গত সেপ্টেম্বরে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (এসিইউ) আনা অভিযোগে অভিযুক্ত হন। দীর্ঘ তদন্তে নাসির তিনটি অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং আজ তাঁকে ছয় মাস স্থগিতসহ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নাসির নিযুক্ত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে (অপ্রয়োজনীয় দেরি না করে) একটি উপহারের রসিদ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন, যেটা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল একটি নতুন আইফোন ১২, যার দাম ৭৫০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮২ হাজার টাকা)।
তিনি নতুন আইফোন ১২-এর মাধ্যমে দুর্নীতির কাজে জড়িত হতে যে পদ্ধতি বা আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, সেটির বিশদ বিবরণ আইসিসির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন। আর ধারার ২.৪. ৬ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন হয়েছে, যাতে তিনি বাধ্যতামূলক যুক্তি ছাড়াই, অভিযুক্ত বিষয়ে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ বা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২০১১ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর বাংলাদেশের হয়ে ১১৫ ম্যাচ খেলা নাসির লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে। তিনি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। আইসিসির অভিযোগের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে নিষিদ্ধ আছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। নাসিরসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে গত ১৯ সেপ্টেম্বরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আইসিসি। তিনি আবার ক্রিকেট শুরু করতে পারবেন ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল, যদি এ সময়ে তাঁর আচরণে সন্তুষ্ট থাকে আইসিসি।