স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলগুলো ইচ্ছা হলে প্রার্থীদের মনোয়ন দিতেও পারে, না-ও দিতে পারে। তাতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
রাজধানীর সচিবালয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। আইন থাকার পরেও এটা সম্ভব কিনা, আপনারা আইনের সংশোধন করছেন কিনা।
মন্ত্রী বলেন, আইনটা যেভাবে করা আছে, এতে দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন হতে পারে, দলীয় প্রতীক ছাড়াও হতে পারে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কোনো দল যদি কাউকে মনোনয়ন দিয়ে প্রতীক দেয়, সেখানে নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। এছাড়া আরও বিকল্প আছে। কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারে। আমি আইনটি দেখেছি, আইনটি ঠিক আছে।
আওয়ামী লীগ কী অংশ নেবে না, জানতে চাইলে, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তারা যদি মনে করেন, দলীয় মনোনয়ন দেবে, সেক্ষেত্রে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু দল যদি মনে করেন, তারা মনোয়ন দেবে না বা কোথাও কোথাও দেবো, কোথাও দেবো না, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে।
আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আইন সংশোধনের জন্য কারো দরকার পড়বে না।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ অনেকটা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতো ভোট করতে পারবেন। দলের নেতাকর্মীরাও যার যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কি না, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ নেবে না বলে ধারণা করা যায়।
এ পরিস্থিতিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না দেওয়া খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না; বরং একজনকে প্রতীক দিলে অন্যরা বিরোধিতায় নামেন। এতে দলে বিভেদ বাড়ে।