২০২৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাটিং-বোলিংয়ে দাপট ছিল স্থানীয় খেলোয়াড়দেরই। সেরা সংগ্রাহক ও উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষ ছয় খেলোয়াড় ছিলেন বাংলাদেশের। এবারও বাংলাদেশের বোলাররা ভালো করলেও ঔজ্জ্বল্য নেই ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে।
নাজমুল হোসেন শান্ত, রনি তালুকদার, তাওহীদ হৃদয়, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান ছিলেন সর্বশেষ বিপিএলের সেরা পাঁচ ব্যাটার। এবার জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের খুঁজে নিতে তালিকার বেশ নিচেই নামতে হচ্ছে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের শান্ত গতবার ৫১৬ করে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এবার যে ৩ ম্যাচ খেলেছেন, তাতে বাঁহাতি ব্যাটারের রান ৫৫। সর্বশেষ সংস্করণে সিলেটের হয়ে খেলা হৃদয় এবার কুমিল্লার হয়ে ৩ ম্যাচে করেছেন ৫৬ রান। কুমিল্লার অধিনায়ক লিটনের ৩ ম্যাচে ৩৫ রান। চোখের সমস্যার কারণে স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারছেন না সাকিব। ব্যাট হাতে তাঁর রান ৪। ফরচুন বরিশালের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেছেন ৪ ম্যাচে ৫২ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের রান ৫৫। ব্যতিক্রম শুধু দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে এ পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকের গড় ৬০; ১৮০ রানের সঙ্গে নজরকাড়া স্ট্রাইকরেট—১৩৬.৩৬। ৩১.৭৫ গড়ে তামিমের রান ১২৭ রান।
এখন পর্যন্ত বোলিংয়ে সেরা ছয়ে পাঁচ বোলারই স্থানীয়। শেখ মেহেদী ৭ উইকেট নিয়ে আছেন শীর্ষে, তাঁর ইকোনমি ৫.৩৪। তালিকায় তিনে থাকা শরীফুল ইসলামের উইকেট ৬টি। তালিকায় এর পরে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ ও আল আমিন হোসেনের ৫টি করে উইকেট। তবে তাঁরা দেদার রান বিলাচ্ছেন। গতবার সর্বোচ্চ ১৭ উইকেটশিকারি তানভীর ইসলাম এবার ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
সর্বশেষ বিপিএলে স্থানীয় খেলোয়াড়েই আস্থা রেখে সুফল পেয়েছিল সিলেট। এবার হৃদয়-মুশফিক নেই তাদের দলে। রান নেই শান্ত, রাব্বি ও জাকির হাসানের ব্যাটে। আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামার আগে দলে আছে দুশ্চিন্তাও। গতকাল মাঠে এসে অনুশীলন না করেই ফেরেন শান্ত। গলায় গামছা প্যাঁচানো শান্ত জানিয়েছেন, বেশ ঠান্ডা লেগেছে তাঁর। যদিও দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানিয়েছেন, বড় কোনো সমস্যা নেই তাঁর। অন্যদিকে রাতের ম্যাচে আজ দুর্দান্ত ঢাকা খেলবে খুলনার বিপক্ষে। ঢাকার তাসকিনকে নিয়েও আছে শঙ্কা।