রাজশাহীর বাঘায় অগ্নিকান্ডে ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর পশ্চিমপাড় গ্রামের মৃত রয়েজ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলামের বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
জানা যায়, অগ্নিকান্ডে নগদ ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা, সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণ, চারটি কক্ষের দুটি ফ্রিজ, চারটি খাট, একটি ওয়ার্ড ড্রোপ, তিনটি সুকেচ, তিনটি ডেসিং টেবিল, দুটি টিভি, ৭টি ছোপা, দুটি ব্লেন্ডার মেশিন, একটি সেলাই মেসিন, ৬টি ফ্যান ও প্রয়োজনীয় জামা-কাপড় পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে বাঘা ফায়ার সার্ভিসের দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক শরীফ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আদিব হোসেন বলেন, অগ্নিকান্ডের সময় কেউ বাড়িতে ছিল না। পাশের একটি বাড়িতে গোলযোগ শুনে সেখানে সবাই গিয়েছিল। সেখান থেকেই আগুন জ¦লে উঠতে দেখে বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশিরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। এতে বাড়ি আসবাবপত্র ও ফ্রিজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, জামা-কাপড় ও মালামালসহ ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাড়ির গৃহকর্তী আবিদা বেগম বলেন, শুক্রবার থেকে আমরা খোলা আকাশের নিচে রয়েছি। আমার সর্বশান্ত হয়ে গেল। এখন কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা। ছেলে-মেয়ে নিয়ে আগামীতে চলায় দায় হয়ে পড়বে।
বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।
বাঘা উপজেলা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ এর শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির আশ পাশে পানির সরবরাহ না পাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রন করতে প্রায় সোয়া এক ঘন্টা সময় লেগেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।