বেইলি রোডের রেস্তোরাঁয় বান্ধবী আর তুতো বোনদের নিয়ে খেতে গিয়েছিল নিমু। ভবনে আগুন লাগলে তারা ছয়জন ভেতরে আটকা পড়ে। আগুন যখন নিচ থেকে ওপরের দিকে ক্রমশ তীব্র হচ্ছিল, তখন ১৮ বছর বয়সি নিমু ফোন করেন তার বাবাকে। বাঁচার আকুতি জানিয়ে নিমু তার বাবাকে বলেন, ‘বাবা, আমাকে বাঁচাও, আমি আটকে পড়েছি।’
এর কিছুক্ষণ পরই বন্ধ হয়ে যায় নিমুর মোবাইল ফোন। বাবা আবদুল কুদ্দুস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন, তার মেয়ের মরদেহ ইতোমধ্যেই নেয়া হয়ে গিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
আবদুল কুদ্দুস ভারাক্রান্ত কন্ঠে চিৎকার দিয়ে মেয়ের জন্য আহাজারি করে বলেন, ‘মেয়েটা মৃত্যুর সময় বারবার বাবা বলে চিৎকার দিয়েছিল।’ নিমু তার খালাতো বোন আলিশা ও রিয়াসহ পাশের বাসার আরও তিনজন বান্ধবীর সঙ্গে ভবনটির একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল। তারা ছয়জনই আগুনে মারা গেছেন বলে জানান আলিশার মামা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের রেস্তোরাঁটিতে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।