রাজশাহীতে জাতীয় যুবজোটের বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (৪ মার্চ)সোমবার বিকাল ৩ টায় নগরীর গণকপাড়া জয় বাংলা চত্বরে জাসদের সহযোগী যুব সংগঠন জাতীয় যুবজোটের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী মহানগর সভাপতি শরিফুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ সভাপতি সাবেক সফল তথ্যমন্ত্রী ১৪ দলের অন্যতম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসানুল হক ইনু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,জাসদের সহ সভাপতি এড.মজিবুল হক বকু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকনজাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় যুবজোট এর সভাপতি মো.শরিফুল কবির স্বপন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জাসদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধ শফিউর রহমান শফি,রাজশাহী জেলা জাসদের সভাপতি প্রদীপ মৃধা,মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু,যুবজোটের কার্যকরী সভাপতি আমিনুল আজিম বনি।
এই সময় প্রধান অতিথি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি হাসানুল হক ইনু। আমাদের দল জাসদ। আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। রাজনীতি যারা করেন তাদের আপনাদের সামনে, পাবলিকের সামনে দাঁড়াতে হয়। পাবলিকের সামনে নিজের কথা বলতে। পাবলিকের মন বুঝতে।
এখন দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে দুর্দশাগ্রস্থ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের চিরশত্রু মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী-তালেবানী শক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামাতের ক্ষমতা দখলের রাজনীতিও মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন,নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে জনগণ দুঃখ-কষ্টে আছে। সরকার ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাজার সিন্ডিকেট কারসাজি করেই চলেছে। কোনো অজুহাত না দেখিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার সিন্ডিকেট ধ্বংস করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো তারা যুবকই ছিলো। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও যুবকদেরই ঝান্ডা ধরতে হবে। বাঙালিদের যারা ধ্বংস করতে চায়, ধর্মের নামে যারা পাকিস্তানি ও তালেবানী সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায় তাদের প্রতিরোধ করে বাঙালিয় সংস্কৃতি প্রসারে যুব সমাজকে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে অবতীর্ণ হতে হবে।
জাতীয় যুব জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন বলেন, যুব কর্মসংস্থানের জন্য যুবকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ সুবিধা রাখা এবং স্বল্প সুদে জামানত বিহীন ঋণ প্রদান করতে হবে। যুব সমাজ যেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন,বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে অন্যথায় বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ বছর করতে হবে।
বিএনপি-জামাত জনগণের দুঃখ-কষ্টকে পুঁজি করে ক্ষমতায় যাবার রাজনীতি করছে। বিএনপি-জামাতের কাছে সংকট সমাধানের কোনো প্রস্তাব নাই। বিএনপি আন্দোলনের নামে যা করছে তার ভিতরে গণতন্ত্রও নাই, বিএনপি-জামাত ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই বুঝে না।
শরিফুল ইসলাম সুজন বলেন,নিত্যপণ্য,পরিবহণ ভাড়া, জ্বালানি তেল,স্যারের দাম কমাতে হবে। যুব সমাজসহ জনগণের কোনো স্বার্থও নাই। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন নিছক ক্ষমতা দখলের আন্দোলন ছাড়া আর কিছুই না। দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করতে হবে,সুশাসন কায়েম করতে হবে।